শিশুরা দুঃখ বোঝে না। তাই পৃথিবী যখন মহামারিতে ভেসে যাচ্ছে, নিজের অল্প চেনা শিশুদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তরুণ গায়ক স্বপ্নীল সজীব। মহামারির এই ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন আনন্দবঞ্চিত না হয়, সে জন্য তাঁদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। উপহার দেওয়া ও সময় কাটানোর পাশাপাশি তিনি নিজের একটি গানেরও সঙ্গী করে নিয়েছেন এই শিশুদের।
স্বপ্নীল জানালেন, শিল্পীর দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এ কাজটি করেছেন। কারণ এই ঈদ বাঙালি তথা বিশ্বের সব মুসলমানদের জীবনের একটি বেদনাদায়ক ঈদ। কিন্তু শিশুরা দুঃখ-বেদনা বোঝে না। এ ঈদে তাঁদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন সজীব। এটি দেখে যদি অন্যরাও যার যার জায়গা থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দিকে এগিয়ে আসে, সেটাই হবে তাঁর সার্থকতা। তিনি বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের গান শেখাই। ভাবলাম এবার আমার এলাকার আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত কজন শিশুকে নতুন পোষাক উপহার দিয়ে তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। তাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর কিছু অংশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আমার নতুন 'আনন্দের গান'-এর একটি ভিডিও। আমার গাওয়া এ গানের সুবাদে ওই শিশুদের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিটুকুও ধরে রাখা গেল।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় 'রমজানের ওই রোজার শেষে' এবং 'হীরকরাজার দেশে' ছবির গান 'আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে' গান দুটির সমন্বয়ে একটি গান নতুন করে গেয়েছেন স্বপ্নীল সজীব। ভিন্ন সুরের এ দুটি গানই আনন্দের গান। নতুন আঙ্গিকে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন এবং ভিডিও নির্মাণ করেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আহাদ।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গানটি দেখা যাবে আনোয়ার আজাদ ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেলে। এ গানটির প্রযোজনা ও শিশুদের উপহার সামগ্রী দেওয়ার আয়োজনে সহযোগিতা করায় স্বপ্নীল সজীব কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন আনোয়ার আজাদের প্রতি। নিজের আশপাশের অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে সবাইকে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়াই ছিল এই গানটি প্রকাশের অন্যতম উদ্দেশ্য।