গানের মানুষ সুবীর নন্দী নেই। তাঁর চলে যাওয়ার ব্যথাতুর বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আজ বুধবার তাঁকে স্মরণ করবেন, শ্রদ্ধা জানাবেন গানের ভুবনের মানুষেরা। তাঁরা বলবেন সুবীর নন্দীর কথা, ফেলে আসা দিনের গল্প। মূল্যায়ন করবেন গানের মানুষ, ব্যক্তিমানুষ সুবীর নন্দীকে। গাওয়া হবে সুবীর নন্দীর জনপ্রিয় গানগুলো।
আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে সুবীর নন্দীর স্মরণানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দীন।
৭ মে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন। ৬৬ বছর বয়সী এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। নিয়মিতভাবে তাঁর ডায়ালাইসিস করতে হতো। এর মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে গত ১৪ এপ্রিল তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়। ১৮ দিন পর তাঁকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম। বরেণ্য এ শিল্পী দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে। সুবীর নন্দী প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীকে।