গানে, আলোচনায় ফকির আলমগীরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের প্রয়াণে শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ। কাল শনিবার রাত সাড়ে আটটায় তাঁর স্মরণে ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ফকির আলমগীরের গড়া সংগঠনটি।

ফকির আলমগীর
প্রথম আলো

শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বে অংশগ্রহণ করবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী শিমূল ইউসুফ, নৃত্যশিল্পী মহুয়া মুখার্জি, প্রয়াত ফকির আলমগীরের সহধর্মিণী সুরাইয়া আলমগীর এবং তাঁর ভাই গণসংগীতশিল্পী ফকির সিরাজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী।

এদিকে আজ শুক্রবার ফকির আলমগীরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচীর সহসভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। শুরুতে বক্তব্য দেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন ফকির আলমগীরের ছোট ভাই ফকির সিরাজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, উদীচীর প্রথম আহ্বায়ক কামরুল আহসান খান ও ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন মাহমুদ সেলিম, সমর বড়ুয়া, ফকির শাহাবুদ্দিন, হাবিবুল আলম, অবিনাশ বাউল প্রমুখ। কলকাতা থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আলোচনা ও সংগীত পরিবেশন করেন শুভেন্দু মাইতি, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উদীচীর সহসভাপতি হাবিবুল আলম।

ফেরদৌস ওয়াহিদ, আজম খান, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর ও পিলু মমতাজ

২৩ জুলাই শুক্রবার রাতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ফকির আলমগীর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। পরদিন শনিবার খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে। ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপগানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন এই শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তাঁকে একুশে পদক দেওয়া হয়।