‘বিধাতার গড়া এই সুন্দর ধরাতে/ মানুষের প্রয়োজন নিত্য মিটাতে/ সুঠাম সবল করা ব্যবহারী ভবনে/ সুচারু আকার দিতে সুন্দর ভুবনে/ মানুষের হাত পড়ে গড়ে ওঠে শেষটা/ থেকে যাবে অবিরাম ভালো লাগা রেশটা’—এমন কথার গানটি লিখেছেন স্থপতি ও লেখক শাকুর মজিদ। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন নকীব খান।
প্রথমবারের মতো গান লিখেছেন শাকুর মজিদ। বাংলাদেশে কর্মরত স্থপতিদের পেশাদারি সংগঠন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে থিম সংটি তাঁর লেখা। আধুনিক স্থাপত্যকলার পথিকৃৎ মাজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। এ নিয়ে অন্যসব স্থপতির মতো আনন্দিত শাকুর মজিদও। তবে তাঁর আনন্দ বাড়তি মাত্রা পেয়েছে আয়োজনের জন্য বিশেষ গানটি লিখে।
গানটি নিয়ে শাকুর মজিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী যে অনুষ্ঠান হবে, তার উদ্বোধন এদিন সন্ধ্যা ছয়টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি গান প্রচারিত হবে। ইনস্টিটিউট থেকে সেই সুবর্ণজয়ন্তী সংগীতটি আমাকে লিখতে বলা হয়। যেটা লিখেছি, সেটাই থিম সং হিসেবে ব্যবহৃত হবে।’ এই লেখক ও স্থপতি বলেন, ‘এই গানটি লেখার ক্ষেত্রে আমি তিনটি জিনিস চিন্তা করেছি, যার ওপর ভিত্তি করে গানটি লেখা। স্থাপত্য বিষয়টা কী, আমাদের দেশের স্থাপত্য ও কী অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা আছি এবং এই দেশকে এই দেশের স্থপতিরা কী দিতে পারেন! পুরো বিষয়টি গানে গানে বলার চেষ্টা করেছি।’
কথা প্রসঙ্গে শাকুর মজিদ জানালেন, এর আগে তিনি তাঁর নিজের সন্তানের জন্য একটি গান লিখেছিলেন। ‘শৈশব’ শিরোনামে গানটি তাঁর ছেলের অনুরোধেই লিখেছিলেন। তবে সেই গানের কোথাও গীতিকার শাকুর মজিদ, এমনটা লেখা নেই। শাকুর মজিদের ভাষায়, এই থিম সং লেখার মধ্য দিয়েই আসলে ফর্মাল গীতিকার হিসেবে যাত্রা হলো।
গানটির সংগীতচিত্র তৈরি হচ্ছে। স্থপতি ও নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমানের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করেছে। নাচের মাধ্যমে গানটির কথায় যা বলা হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করবেন।