ভারতের কলকাতায় শুরু হচ্ছে শুধু নারী শিল্পীদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক উৎসব। গান, নাচ, সংগীতসহ শিল্পের নানা বিষয় থাকছে এই উৎসবে। ‘তান্তীধাত্রী’ শিরোনামে এ উৎসব শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ বছর বসছে তান্তীধাত্রী উৎসবের তৃতীয় আসর। প্রথম আসরটি বসেছিল ২০১২ সালে। যদিও এই উৎসবের বীজটি উদ্যোক্তা পার্বতী বাউলের মনে ২০০৫ সালে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত ট্রানজিট ফেস্টিভ্যালে রোপিত হয়েছিল। ওই উৎসবটি ছিল আন্তর্জাতিক নারী শিল্পীদের এক সমাবেশ। জুলিয়া ভার্লে নামের এক শিল্পী আয়োজিত ওই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন পার্বতী বাউল। সে সময়ই তিনি এমন একটি উৎসব আয়োজনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
উৎসবের নাম ‘তান্তীধাত্রী’ কেন? আয়োজকদের মতে, এই শব্দের ঐতিহ্যিক উৎসের কারণে শুধু নয়, ‘তান্তীধাত্রী’ শব্দটি পাওয়া যায় আদিগ্রন্থ ‘চর্যা’য়। চর্যার একটি গানে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। ‘তান্তীধাত্রী’ শব্দের সঙ্গে যোগ রয়েছে পালি, মৈথিলি ও সংস্কৃতের। ‘তান্তী’ বলতে তন্তু, আর ‘ধাত্রী’ বলতে ধারক ও পৃষ্ঠপোষক। এককথায় তান্তীধাত্রীর অর্থ হলো যে নারী পরম্পরার সুতো অর্থাৎ গুরু-শিষ্যে পরম্পরার সুতোটি ধারণ করেন ও বাঁচিয়ে রাখেন। ঐতিহ্যের ভূমিতে পা রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই যার দায়।
এ বছর ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারি কলকাতার রাজারহাট রবীন্দ্রতীর্থে অনুষ্ঠেয় ছয় দিনব্যাপী এ উৎসবে যোগ দেবেন ১৫টি দেশের নারী শিল্পীরা, যাঁদের নারী পরম্পরার সাধনায় গুরু হিসেবে মান্য করা হয়। তাঁদের মধ্যে পার্বতী বাউল, জুলিয়া ভার্লে, জিল গ্রিনহাল্গ ও ব্রিজিত কার্লার উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিল্পীরাও অংশ নেবেন উৎসবে। উৎসবটি সাজানো হয়েছে সকাল আটটা থেকে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাস্টার ক্লাসসহ বিভিন্ন আয়োজন এবং বেলা সাড়ে তিনটার পর থেকে নানা অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে।