এস আই টুটুল
এস আই টুটুল

এস আই টুটুলের করোনা

করোনা না হলে বুঝতাম না, মানুষ এত ভালোবাসে

আজকের অবস্থা কি জানতে চাইলে টুটুল বললেন, ‘ব্যথা নেই, দুর্বলতাও কেটে গেছে। তবে শ্বাসকষ্টটা এখনো আছে। খাবার খাচ্ছি, কিন্তু রুচি নেই। স্বাদ-গন্ধও পাচ্ছি না।’

‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়ানোর পর, দেশের আনাচকানাচ থেকে কত মানুষ ফোন করেছেন। এত এত ফোন! সবাই যে আমাকে একটা ভালোবাসে, নতুন করে বুঝলাম। করোনা না হলে বুঝতাম না মানুষ এত ভালোবাসে।’

কথাগুলো গায়ক এস আই টুটুলের। আজ বুধবার দুপুরে উত্তরার বাড়িতে বসে কথাগুলো বললেন তিনি। জানালেন, এখন কিছুটা ভালোর দিকে। তবে শ্বাসকষ্ট আছে এখনো।

এখন কিছুটা ভালোর দিকে। তবে শ্বাসকষ্ট আছে এখনো

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বাসায় থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন এস আই টুটুল। তিনজন চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাসেবা চলছে বলে জানালেন এই গায়ক। টুটুলের স্ত্রী অভিনয়শিল্পী তানিয়া আহমেদ সন্তানদের নিয়ে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। করোনার মহামারির আগে সেখানে যাওয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার কারণে আর বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি। ২৩ আগস্ট টুটুলেরও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।

‘ব্যথা নেই, দুর্বলতাও কেটে গেছে। তবে শ্বাসকষ্টটা এখনো আছে। খাবার খাচ্ছি, কিন্তু রুচি নেই। স্বাদ-গন্ধও পাচ্ছি না।’
এস আই টুটুল

করোনা আক্রান্তর পর থেকে টুটুলের গায়ে ব্যথা, শরীর দুর্বল ছিল। স্বাদ গন্ধও পেতেন না। অক্সিজেন সাচুরেশন ঠিক ছিল না। আজকের অবস্থা কি জানতে চাইলে টুটুল বললেন, ‘ব্যথা নেই, দুর্বলতাও কেটে গেছে। তবে শ্বাসকষ্টটা এখনো আছে। খাবার খাচ্ছি, কিন্তু রুচি নেই। স্বাদ-গন্ধও পাচ্ছি না।’

সাধারণত অন্য সময় মানুষ যেভাবে খোঁজখবর নিত, করোনা আক্রান্তের খবর শুনে তা অনেক বেড়ে গেছে। এটাকে নিরেট ভালোবাসা মনে করছেন এস আই টুটুল। বললেন, ‘আমার সংগীতাঙ্গনের অনেক বন্ধু, সহকর্মীরা ফোন করছেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত শারীরিক অবস্থার খবর নিচ্ছেন। অনেক বড় বড় চিকিৎসকেরা ফোন করছেন। দেশের আনাচকানাচ থেকে অপরিচিত অনেকে কীভাবে ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে খবর নিচ্ছেন। সবার এই নিরেট ভালোবাসা আমাকে শক্তি দিয়েছে, সাহস বাড়িয়েছে। সত্যি আমার এই অবস্থা না হলে বুঝতামই না সবাই এতটা ভালোবাসে।’

প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাচ্ছেন। আমলকীসহ টকজাতীয় খাবার খাচ্ছেন

টুটুল জানালেন, প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাচ্ছেন। আমলকীসহ টকজাতীয় খাবার খাচ্ছেন। মসলা মিশ্রিত চা পান করছেন।