দেশের সুরকার ও সংগীত পরিচালকেরা ঐক্যবদ্ধ হলেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চ্যুয়াল সভা শেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন সুরকার ও সংগীত পরিচালকেরা। মিউজিক কম্পোজার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামের এ সংগঠনের আহ্বায়ক করা হয়েছে শেখ সাদী খানকে।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই দেশের সংগীতাঙ্গনের জগতে সুরকার ও সংগীত পরিচালকেরা তাঁদের পেশাগত ও সামাজিক সমস্যার সমাধানে একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন। বাংলাদেশের সংগীতের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে এ সংগঠন। সেই লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুরকার ও সংগীত পরিচালকেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় এক সভায় ঘোষণা করা হয় সুরকার-সংগীত পরিচালকদের সংগঠন ‘মিউজিক কম্পোজার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’–এর নাম।
সভায় জ্যেষ্ঠ সুরকার-সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খানকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি চূড়ান্ত করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন নকিব খান, আনিসুর রহমান তনু, ফরিদ আহমেদ, ফোয়াদ নাসের বাবু, শওকত আলী ইমন, বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া, পার্থ মজুমদার, এস আই টুটুল ও রিপন খান।
প্রথম আলোকে শেখ সাদী খান বলেন, ‘সংগীতাঙ্গনের সবাই যার যার মতো কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু এসবের ব্যবসায়িক দিক, কপিরাইট ইস্যুসহ আরও নানা বিষয়ে সুরকার ও সংগীত পরিচালক; তথা সংগীতাঙ্গন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। সবকিছুকে নিয়মের মধ্যে এনে এবং সংগীতাঙ্গনের সবার স্বার্থসিদ্ধির ব্যাপারগুলোকে সুন্দর প্রক্রিয়ায় আনার লক্ষ্যে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু করা হয়েছে। আমরা যাতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছুর মোকাবিলা করতে পারি, তাই এমন একটা সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেছি। তা ছাড়া শুদ্ধ সংগীতের প্রচার–প্রসারের ক্ষেত্রে সংগঠনটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’
শেখ সাদী খান জানান, প্রয়াত সংগীত পরিচালক আজাদ রহমান জীবিতাবস্থায় সুরকার-সংগীত পরিচালকদের এমন একটি সংগঠন গড়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উদ্যোগ নেওয়ার কিছুদিন পর তিনি মারা যাওয়ায় সবকিছু থেমে যায়। এরপর অন্য সংগীত পরিচালকেরা তাঁর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন।
জ্যেষ্ঠ সংগীত পরিচালক আলী হোসেন, আলম খান, মো. শাহ্ নেওয়াজ প্রমুখ এ সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন এবং সংগঠনের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেছেন।