একুশে পদক পাওয়া বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলমকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ শনিবার বেলা তিনটায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এরপর তাঁকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোট ভাই সারোয়ার আলম মামুন।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বগুড়া শহরের চারমাথা এলাকায় প্রাইভেট কারের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে খুরশীদ আলম আহত হন। বগুড়া শহর থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক দিয়ে স্থানীয় হোটেলে ফিরছিলেন তিনি। তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাকায় আনার আগে বগুড়া থেকে প্রথম আলোকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম রসুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুরশীদ আলমের অবস্থা স্থিতিশীল। উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তবে এই ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। এর মধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার।’
জয়পুরহাটের কৃতী সন্তান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম বগুড়ার সংগঠন জয়পুরহাট কল্যাণ ট্রাস্টের এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল বগুড়ায় যান। রাতে খাবার খেতে গাড়ি নিয়ে শহরের দিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি ট্রাক তাঁর প্রাইভেট কারকে সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় শিল্পীর গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়। তাঁর মাথা ও মুখে আঘাত লাগে এবং দাঁত ভেঙে যায়।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সুশান্ত কুমার বলেছেন, ‘খুরশীদ আলমের মাথায় রক্তক্ষরণ নেই।’
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। খুরশীদ আলমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাকচালককে আটক করার চেষ্টা চলছে।