বাংলাদেশি গানের জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর তখনো গানের জগতে আসেননি। ক্রিকেট খেলার প্র্যাকটিস নিয়ে কাটত তাঁর সময়। খেলায় সাফল্য না পেলেও একটা সময় গানে পেয়ে যান সফলতা। আসিফ যখন নেটে প্র্যাকটিস করতেন, স্টেডিয়ামের দোকানে বাজত ডলির গান। সহশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর জন্মদিনে সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলেন আসিফ আকবর।
নিজের ফেসবুকে আসিফ তাঁর সহকর্মী ডলি সায়ন্তনী প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ডলি সায়ন্তনীর গায়কিকে মূল্যায়ন করতে পারেনি কখনো। কনকচাঁপা আপার দীর্ঘ সেশনের পরপর ডলিই আমার দৃষ্টিতে এই বাংলাদেশের সেরা গায়িকা।’
আসিফ তাঁর ফেসবুকে এও লিখেছেন, ‘সংগীতে আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত, বলতে গেলে একদমই নাই। লিজেন্ডদের কাছাকাছি থাকতে পারার সুবাদে গানের গল্প আমরা ছোট মানুষেরা টুকটাক সবাই জানি। নব্বই সালে ঢাকায় ক্রিকেট খেলতে এসে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ বিমানের নেটে প্র্যাকটিসে ছিলাম। মিরপুর থেকে আসতে হতো। বিসমিল্লাহ হোটেলে নাশতা খেয়ে প্র্যাকটিসে অ্যাটেন্ড করতাম সকাল সাতটায়। ঠিক নয়টা থেকে স্টেডিয়ামের সমস্ত অডিও দোকানে বাজত ডলির সায়ন্তনীর গান। খেলায় সফলতা ভাগ্যে জোটেনি। এক সময় ডলির সাথে পরিচয় হলো। দিন শেষে আমরা সেরা কলিগ হয়তো হয়েছি।’
ডলি সায়ন্তনীকে একটু মুডি আর খানিক মেজাজি উল্লেখ করলেন আসিফ। একই সঙ্গে তাঁর গানের তালিম নেওয়ার ব্যাপারটিরও বেশ প্রশংসা করলেন জনপ্রিয় এই গায়ক। আসিফ বললেন, ‘ডলি এখনো গান শিখেই যাচ্ছে, কী শিখছে জানি না। তবে ডলি এখনো নিয়মিত অনুশীলনে থাকে। সেরা সৌভাগ্য ডলির মতো ক্ষণজন্মা একজন প্রতিভা আমার ভালো বন্ধু। সম্ভবত এই দেশে ডলি আমার কথাকেই একটু বেশি গুরুত্ব দেয়। আজ ডলির শুভ জন্মদিন। অনেক গান গেয়েছি আমরা, বেঁচে থাকলে আরও গাইব ইনশা আল্লাহ। ডলি সব সময়ই আমার প্রিয় এবং পছন্দের ডুয়েট গানের পার্টনার। দোয়া করি অবুঝ বাংলাদেশের অন্ধ ইন্ডাস্ট্রি তাঁর মর্যাদা বুঝুক সময় থাকতে। শুভ জন্মদিন প্রিয় বন্ধু আমার। ভালোবাসা অবিরাম।’