আমরা কবে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাঁচতে পারব?

গানে, কবিতায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট
ইউটিউব থেকে

গানে, কবিতায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াও’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সোমবার রাতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় ছায়ানটের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন। আক্ষেপ করে বলেন, ‘সম্প্রদায়–বিদ্বেষের বিষ সাপের মতো ছোবল দিয়েছে বারবার। আমরা কবে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাঁচতে পারব?’ তাঁর বক্তব্যের পর ছায়ানটের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের গান ‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী’।

অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন

জয়ন্ত রায় পাঠ করেন নজরুলের কবিতা ‘তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত’। পরে এই কবিতাটিই গান আকারে পরিবেশন করেন খায়রুল আনাম শাকিল। অস্থির সময়ে দৃঢ়সংকল্পের প্রত্যয় ব্যক্ত করে লাইসা আহমদ লিসা গেয়ে শোনান ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব বিষম ঝড়ের বায়ে’। আবদুল ওয়াদুদ শোনান ‘আর নহে, আর নয় আমি করি নে আর ভয়’। একক গানগুলোর মাঝে মাঝে ছিল সম্মেলক গানের পরিবেশনা। সমবেত গানের মধ্যে ছিল ‘আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’।

‘ধর্মমোহ’ শিরোনামের কবিতা আবৃত্তি করেন সুমনা বিশ্বাস। ধর্মের ভেদরেখা ছাপিয়ে সম্প্রীতির বারতা ছড়িয়ে দিতে সুমন মজুমদার গেয়ে শোনান ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান’। ‘পুব-পশ্চিম’ শিরোনামের কবিতা থেকে পাঠ করেন জহিরুল হক খান। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মানবিক সমাজের আশা মনে জাগিয়ে তুলতে চন্দনা মজুমদার শুনিয়েছেন লালনের গান ‘এমন মানবসমাজ কবে গো সৃজন হবে’।
ছায়ানটের রীতি অনুযায়ী শেষ পরিবেশনা ছিল জাতীয় সংগীত। এর আগে শিল্পীরা শোনান ‘যশোর, খুলনা, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, বরিশাল, নোয়াখালী তারা হিন্দু নয়, মুসলিম নয়; তারা শুধু বাঙালি’, ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ’ গান দুটি।