স্টেডিয়ামের বাইরে সমুদ্রসৈকতে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন ইভানা। তাঁর ছবিগুলো নিয়ে কাতারে আলোচনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
স্টেডিয়ামের বাইরে সমুদ্রসৈকতে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন ইভানা। তাঁর ছবিগুলো নিয়ে কাতারে আলোচনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে যা বললেন ভাইরাল সেই মডেল

সদ্য শেষ হয়েছে কাতারে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসর। কাতারে আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা বিতর্ক আলোচনা-সমালোচনা। তবু বৈচিত্র্যময় আয়োজন দিয়ে কাতার মুগ্ধ করেছে সবাইকে। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনা এখনো চলছে। এরই মধ্যে আয়োজক দেশ হিসেবে কাতার জয় করেছে প্রশংসা। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত দর্শক সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া তো কাতারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে এবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায়। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থান নিয়ে বাড়িতে ফিরে লুকা মদরিচের দল। মাঠে লুকা মদরিচের পাশাপাশি গ্যালারিতে দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা।

ইভানা

নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক পরে মাতিয়ে রেখেছিলেন গ্যালারি। ফাইনাল থেকে ক্রোয়েশিয়া ছিটকে পড়লেও ফাইনালে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
শুরুতে পোশাক নিয়ে কাতার সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের সমালোচনা করেছিলেন ইভানা। ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ব্রাজিলের ম্যাচে পড়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীর বাধার কবলেও। সেই মিস ক্রোয়েশিয়া কাতার ছাড়ার পূর্বে কাতারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

স্টেডিয়ামের বাইরে সমুদ্রসৈকতে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন ইভানা। তাঁর ছবিগুলো নিয়ে কাতারে আলোচনা তৈরি হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ কাতার! এটা ছিল সেরা বিশ্বকাপ! বিশ্বকাপ বড় এক পরিবার, যেখানে অনেকগুলো দেশ এক জায়গায়! আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি, আমরা একে অপরের সংস্কৃতি, ধর্ম ও জীবনযাপনকে গ্রহণ করে নিয়েছি! কাতার তোমাকে ভালোবাসি, আবারও দেখা হবে।’

পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধ থাকলেও শুরু থেকেই এটি শিথিল ছিল। কাতারে কোনো জায়গায় পোশাকের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি এই ক্রোয়েশিয়ান মডেলকে। তাই হয়তো শুরুতে যিনি ছিলেন কাতারের সমালোচক, শেষে এসে তাঁর মুখেই কাতারের সুনাম। বিশ্বকাপে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ইভানার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বিশ্বকাপের আগে ইভানার অনুসারীর সংখ্যা যেখানে ছিল প্রায় ছয় লাখ, সেখানে বিশ্বকাপ শেষে তা এসেছে ৩৫ লাখে।