একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী, নৃত্য প্রশিক্ষক নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা খান মারা গেছেন। রোববার দিবাগত রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তিনি স্ত্রী, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
গোলাম মোস্তফা ১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশের অন্যতম নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তাঁর নির্দেশিত নৃত্যনাট্যসমূহের মধ্যে ‘বেণুকার সুর’, ‘তিন সুরে গাঁথা’ এবং ‘রক্তলাল অহংকার’ অন্যতম। ১৯৮০ সালে তিনি ‘বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্র’ নৃত্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোলাম মোস্তফা খান তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্র’–এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নৃত্যশিল্পের চর্চা ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি তাঁর সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে নৃত্যপ্রেমী বাঙালির হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।
গোলাম মোস্তফা খান ২০২০ সালে একুশে পদক, ২০১৬ সালে শিল্পকলা একাডেমির পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া নৃত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর অনেক শিষ্য নৃত্যে দেশ–বিদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।