নতুন সিনেমার মুক্তির আগে কুসুমের নতুন ছবি

নীরবে নিজের পরিচালিত ‘শরতের জবা’ ছবির শুটিং করেছেন অভিনয়শিল্পী কুসুম শিকদার। চলছে ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরের শুরুতে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। ছবি মুক্তির আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব এই মডেল ও অভিনয়শিল্পী। প্রকাশ করেছেন নতুন ফটোশুটের বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র। দেখে নেওয়া যাক এসব স্থিরচিত্র।
২০০২ সালে ‘লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজনিক’ প্রতিযোগিতা দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে পেশাদার যাত্রা শুরু হয় কুসুম শিকদারের। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই অঙ্গনে যুক্ত আছেন। তবে কয়েক বছর ধরে কাজ একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। নিজের পছন্দ না হলে কাজে তাঁকে দেখাই যায় না।
২০০২ সালে ‘লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজনিক’ প্রতিযোগিতা দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে পেশাদার যাত্রা শুরু হয় কুসুম শিকদারের। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই অঙ্গনে যুক্ত আছেন। তবে কয়েক বছর ধরে কাজ একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। নিজের পছন্দ না হলে কাজে তাঁকে দেখাই যায় না।
মডেলিং ও অভিনয় ছাড়া কুসুম শিকদারকে গানেও পাওয়া গেছে। তাঁর গাওয়া গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে। এখনো হঠাৎ হঠাৎ গানে তাঁকে দেখা যায়। সর্বশেষ তাঁর গাওয়া ‘নেশা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশিত হয়েছে।
মডেলিং, নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি কুসুম চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ‘গহীনে শব্দ’, ‘লাল টিপ’, ‘শঙ্খচিল’—এ ছবিগুলোতে অভিনয় করে আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী এবার ‘শরতের জবা’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন। গল্পটি তাঁর লেখা ‘অজাগতিক ছায়া’ গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
নতুন পরিচয় কতটা উপভোগ্য ছিল? প্রশ্ন শুনে কুসুম বললেন, ‘কী যে বলেন। চিন্তায় আমি শেষ। নিজে না ঘুমিয়ে, ঠিকমতো না খেয়ে অন্যদের ভালো রাখতে হয়েছে। ২০০ কলাকুশলীর বিশাল টিম। কে কী খাবে, কোথায় থাকবে এসব দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে। পাশাপাশি অভিনয়ও করতে হয়েছে। অভিনয় করিয়েও নিতে হয়েছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে চাপটা আমার কাঁধেই ছিল।’
শুটিংয়ের জন্য দাদার বাড়ি নড়াইলের পহরডাঙ্গা গ্রামকে বেছে নিয়েছিলেন কুসুম। সেই গ্রামে কোনো হোটেল-রিসোর্ট নেই, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও নেই। এর মধ্যে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কীভাবে করলেন, জানতে চাইলে কুসুম বলেন, ‘কেউ আমাদের বাড়িতে ছিলেন, কেউ চাচার বাড়ি। ফুপু ও অন্য আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ছিলেন। কেউ স্কুলেও ছিলেন। এত দিন শুধু নিজের থাকা-খাওয়ার দিকে নজর দিয়েছি। প্রযোজক হওয়ার কারণে এবার খুব কাছ থেকে বুঝতে পারলাম দায়িত্বটা অনেক কঠিন। সব ঠিকমতো পালন করতে হবে, না হলে নিজেরই ক্ষতি।’
কুসুমের অনেক দিনের ইচ্ছা নিজের প্রোডাকশন হাউস থেকে সিনেমা বানাবেন। অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। অনেকটা চুপিসারে ছবিটির শুটিং শেষ করেছেন। ডাবিংও শেষ। এখন কালার গ্রেডিংও শেষ। চলছে মুক্তির প্রস্তুতি। চুপিসারে শুটিং করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি তো চুপচাপই থাকি। সে জন্য কাউকে জানাইনি। তা ছাড়া সিনেমা নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম। একসঙ্গে অভিনয়, ডিরেকশন, প্রযোজনা নিয়ে চাপে ছিলাম।’ ‘শরতের জবা’ ছবিতে কুসুমের সহ-অভিনেতা ইয়াশ রোহান। প্রথমবার জুটিবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। জানা যায়, সিনেমাটি ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃত ঘরানার।