পাকিস্তানের করাচি রেডিওর আর্কাইভে থাকা বাংলাদেশের কিংবদন্তি লোকসংগীতশিল্পী আবদুল আলীমের ২০টির বেশি গান ঢাকায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মতামত জানতে বাংলাদেশ বেতারকে চিঠি পাঠিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে ‘পাকিস্তানে নষ্ট হচ্ছে আবদুল আলীমের গান’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর সরকারিভাবে গানগুলো ফেরানোর উদ্যোগ নিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে আবদুল আলীমের পরিবার।
পরিবারের আবেদন আমলে নিয়ে আলীমের গান ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশ বেতারের মতামত জানতে গত মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক খাদিজা বেগম গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে গানগুলো ফেরানো দরকার বলে আমরা মতামত পাঠিয়েছি।’
বাংলাদেশ বেতারের মতামত এখনো পাননি বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বেতার) মো. মজিবুর রহমান। তিনি জানান, আবদুল আলীমের গান বাংলাদেশের সম্পদ। বেতার থেকে ইতিবাচক মতামত পেলে বিষয়টি তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। পরে পাকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে গান ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। যুগ্ম সচিব বলেন, ‘গানগুলো যদি সেখানে (পাকিস্তানে) রক্ষিত থাকে আর সেগুলো যদি আমরা ফেরত আনতে পারি, তাহলে এটা আমাদের আর্কাইভের মর্যাদা বাড়াবে।’
এর আগে সেপ্টেম্বরে গানগুলো ফেরানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
ষাটের দশকে করাচি রেডিও এবং পাকিস্তান টেলিভিশনে নিয়মিত গান করতেন আবদুল আলীম। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিম পাকিস্তানেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তাঁর গান করাচি রেডিওর আর্কাইভে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে আলীমের পরিবার। স্বাধীনতার পর কূটনৈতিক জটিলতায় গানগুলো আর দেশে ফেরত আনা যায়নি।