শাফায়েত মনসুর রানার ওয়েব সিরিজ ‘অদৃশ্য’–তে সোনিয়া নামের এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন তরুণ অভিনেত্রী নিশাত প্রিয়ম। গতকাল রোববার অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘বিনোদন’–এর সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় কী করছেন?
গত ২০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। এখানে আমার ভাইবোন থাকে; ওদের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় ফিরব।
সোনিয়া চরিত্রটা নির্বাচন করলেন কেন?
সোনিয়ার চরিত্রটা পড়ে খুবই আগ্রহী হই। এই চরিত্রের অনেকগুলো স্তর রয়েছে। ফলে অভিনয়ে নিজেকে ভাঙার সুযোগ ছিল, সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। এটি একটি রহস্যময় চরিত্র, এই ধরনের চরিত্র আগে করিনি। কাজটি নিয়ে দর্শকের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমাকে এই সিরিজে যুক্ত করার জন্য হইচই ও নির্মাতা শাফায়েত মনসুর রানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সোনিয়াকে কখনো প্রেমিকা, আবার কখনো কবিতার অনুরাগী হিসেবেও পাওয়া গেছে। আপনি কবিতা পড়েন?
কবিতা মাঝেমধ্যে পড়ি। তবে কবিতার থেকে উপন্যাস পড়তেই আমার বেশি ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমার প্রিয় ঔপন্যাসিক।
নির্মাতা শাফায়েত মনসুর, অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদ ও অপি করিমের সঙ্গে এটি আপনার প্রথম কাজ। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আমার পছন্দের নির্মাতাদের একজন শাফায়েত মনসুর রানা। উনি একজন মেধাবী নির্মাতা, মানুষ হিসেবেও দারুণ। তাঁর সব কাজ আমি দেখেছি; আমি তাঁর কাজের অনুরাগী (ফ্যান)। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি, শুরুতে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। সোনিয়া চরিত্রটি ওনারই সৃষ্টি। এই চরিত্রে আমি যা করেছি, তার পুরো কৃতিত্ব পরিচালকের।
শিল্পীদের মধ্যে আমি মাহফুজ ভাই ও অপি আপুর কাজের অনুরাগী। প্রথম দিন দৃশ্যধারণে আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। শুধু সহশিল্পী হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও তাঁরা অসাধারণ। পার্থ শেখের সঙ্গেও এটি আমার প্রথম কাজ। শাহাদাত (হোসেন) ভাই, শম্পা (রেজা) মা, তানিয়া (আহমেদ) আপুর সঙ্গে আমার খুব ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। আমার প্রথম সিরিজ ‘মানি হানি’ নিয়ে যেমন রোমাঞ্চিত ছিলাম, ‘অদৃশ্য’ নিয়েও তেমন রোমাঞ্চ অনুভব করেছি।
‘মানি হানি’, ‘মহানগর’, ‘মিশন হান্টডাউন’ থেকে ‘অদৃশ্য’, টিভি নাটকের তুলনায় আপনার ওটিটির কাজগুলোই দর্শকমহলে বেশি আলোচিত হয়েছে।
নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। ২০১৮ সালে আইফ্লিক্সের ‘দ্য নক’ দিয়ে আমার ওটিটিতে অভিষেক ঘটে। এরপর হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ ‘মানি হানি’ করি। হইচই, চরকি, বায়োস্কোপ, বিঞ্জসহ সব ওটিটিতেই কাজ করেছি। আমি বরাবরই কম কাজ করি। তবে ভালো কাজ করে যেতে চাই। ওটিটির কাজগুলো অনেকে দেখছেন, আমি ধন্য। নাটকই আমার শিকড়, নিয়মিত ছোট পর্দায় কাজ করে যাব। নাটকের কারণেই আমি ওটিটিতে কাজ করছি। কখনোই নাটক ছাড়ব না।
সামনে কী কাজ আসছে?
শাহাদাত হোসেন ভাইয়ের প্রযোজনায় একটি অমনিবাস চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এতে আটটি গল্প রয়েছে, আটজন নির্মাতা নির্মাণ করছেন। এন রাশেদ চৌধুরীর গল্পে কাজ করেছি, এতে সহশিল্পী রয়েছেন ইরেশ যাকের। ‘অদৃশ্য’ সিরিজের দৃশ্যধারণের সময় অন্য কোনো কাজ করিনি।
সিনেমা করার পরিকল্পনা রয়েছে?
ভালো গল্প পেলে অবশ্যই সিনেমা করব।