ছোটখাটো চরিত্রে পার্ক গিয়ো ইয়ংকে বহুবারই পাওয়া গেছে। ইটস ওকে টু নট বি ওকে, সুইট হোম-এর মতো আলোচিত কে-ড্রামায় গুরুত্বপূর্ণ সব পার্শ্বচরিত্র করেছেন কোরীয় এই অভিনেত্রী। প্রশংসাও কুড়িয়েছেন, তবে মূল তারকাদের ভিড়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পারেননি।
এসব সিরিজের পোস্টারের এক কোনায় ঠাঁই পেতেন পার্ক গিয়ো ইয়ং, তারও আগে তো জায়গাই মিলত না। তার এই সব খেদই মিটিয়ে দিয়েছে সদ্য মুক্তি পাওয়া সেলিব্রিটি, নেটফ্লিক্সের এই সিরিজটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে নজর কেড়েছেন পার্ক গিয়ো ইয়ং।
সিরিজের পোস্টারজুড়ে শুধুই তিনি। সাত বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা দেখে অবাকই হয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। দ্য কোরিয়া টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পোস্টারে শুধুই আমাকে দেখে আমি রোমাঞ্চিত। কাজটি আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস ও শেখার আগ্রহ আমাকে পরবর্তী কাজে প্রেরণা জোগাবে।’
৩০ জুন মুক্তি পাওয়া সিরিজটি নেটফ্লিক্সের অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। বাংলাদেশ, ফ্রান্স, পর্তুগাল, জাপানসহ বিশ্বের ৫২টি দেশে সিরিজটি শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে নির্মিত সিরিজটিতে দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে সাধারণ এক নারী রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান। অর্থ, তারকাখ্যাতির সঙ্গে কোটি কোটি অনুসারী—রাতারাতি বদলে যায় তাঁর জীবন।
চরিত্রটি নিয়ে পার্ক গিয়ো ইয়ং বলেন, ‘দর্শক সামাজিক মাধ্যম বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা রাখেন। ফলে চরিত্রটি ধারণ করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। চরিত্রটিকে যতটা সম্ভব বাস্তবসম্মতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
সামনে নেটফ্লিক্সের আরেক আলোচিত সিরিজ স্কুইড গেম-এর দ্বিতীয় মৌসুমে অন্যতম মূল চরিত্রে তাঁকে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে সিরিজের দৃশ্যধারণ শুরুর হয়েছে, এটি মুক্তি পাবে আগামী বছর।