‘পুনর্মিলনে’ দেখে দর্শক যা বলছেন

২১ সেপ্টেম্বর এই সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে
২১ সেপ্টেম্বর এই সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে

কারও মধ্যে কথা-কাটাকাটি, কারও রাগ, কারও আবার মন খারাপ! কাজিনদের সম্পর্কের নানা বাঁক-মাত্রা, আনন্দ-হাসি, টুকরা অভিমান, কিছু টানাপোড়েন, সংশয় আর দ্বন্দ্বের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলনে’। ২১ সেপ্টেম্বর এই সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর থেকে ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনা করছেন।

সিরিজে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও তাসনিয়া ফারিণ। জুটি হিসেবে তাঁদের অনেকেই পছন্দ করেছেন। তাঁদের অভিনয় ছিল সাবলীল। তবে গল্প নিয়ে কেউ কেউ ভিন্ন কথা বলছেন। অনেকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। কেউ বলছেন কিছুটা আশা পূরণ হয়নি। তবে বেশির ভাগ দর্শক গল্পটিকে পছন্দ করেছেন।

‘পুনর্মিলনে’ ওয়েব সিরিজের পোস্টার

সিনেমাটি নিয়ে অন্তর নামে এক দর্শক ফেসবুকে লিখেছেন ‘এখন পর্যন্ত ৩টা ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। তিনটিতেই খুব দারুণভাবে সফল হয়েছেন তিনি। এগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত ওয়েব ফিল্ম।’ ঐশী নামে এক নারী দর্শক পুনর্মিলনে সমালোচনায় লিখেছেন, ‘পুনর্মিলনে’ কাজটা দেখেছি। অনেক ভালো ছিল। গঠনমূলক সমালোচনায় তিনি আরও লিখেছেন সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন পরিচালক। নির্মাণ ছিল অসাধারণ।
কিছুটা বিরতি নিয়ে পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান তৃতীয় ওয়েব ফিল্ম নিয়ে ফিরেছেন। তাঁর সব গল্পেই উঠে আসে বাস্তবতা। ‘পুনর্মিলনে’ নিয়ে আকাশ হোসেন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘উফফ...দমবন্ধ হয়ে আসছিল। একেবারেই “নেটওয়ার্কের বাইরে” ফিল্মটার মতো। অনেক ভালো লাগছে। যে যতই রেটিং দিক না কেন, আমার কাছে ভালো মানে ভালো। কোনো রেটিংয়ের প্রয়োজন নেই। ফিল্মটায় একের ভেতর সব আছে, বাস্তব জীবনের সবকিছু। বলে বোঝানো সম্ভব না, তাই লিখে বোঝানোর চেষ্টাও করছি না।’

পুনর্মিলনে–এর পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান

তবে অনেকেই হিসাব কষছেন পরিচালক আরিয়ানের অন্য কাজগুলোর সঙ্গে। সেখানে ‘পুনর্মিলনে’ কে কতটা এগিয়ে রাখে সেটাই পরিচালকের প্রাপ্তি। বোরহান নামে এক সিনেমাপ্রেমীর মন্তব্য, ‘গল্পটা চাইলে অন্যভাবে ভাবা যেত। কাজিনদের মধ্যকার সম্পর্ক, খুনসুটি, অভিমান, প্রেম—এসব দেখানোর পাশাপাশি তাদের পরিবারের টানাপোড়েন দেখানো যেত। সঙ্গে একে অপর থেকে হারিয়ে যাওয়া, আবার দাদির জন্মদিনে সবাই এক হওয়া। একটা পারিবারিক আবেগঘন পরিবেশ। অ্যান্ডিং হতো খুশির, আনন্দের।’
যেকোনো কাজ নিয়েই ভক্তদের নানা মত থাকবেই। তবে পরিচালকের ভাবনা সব সময় সবার ভাবনার সঙ্গে মিলবে, সেটাও না। এসব নিয়ে ভিন্ন মত থাকাই স্বাভাবিক। ওয়েব ফিল্মটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে দেখতে পারবেন।
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নব্বইয়ের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাকে দেখা গেছে এই সিনেমায়। দেখা গেছে বেশ কিছু নতুন মুখও। ১০৩ মিনিটের ফ্যামিলি ড্রামা জনরার এ সিনেমায় পর্দায় আরও দেখা গেছে গোলাম ফরিদা ছন্দা, নূর ইমরান মিঠু, শাশ্বত দত্ত, তাজনূভা জাবীন, নওবা তাহিয়া, দীপ্ত দে, জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল, টুনটুনি হামিদ প্রমুখকে।