সাড়ে ১৬ তারিখেই মুক্তি পেয়েছে ‘সাড়ে ষোলো’
সাড়ে ১৬ তারিখেই মুক্তি পেয়েছে ‘সাড়ে ষোলো’

রহস্যময় এক হোটেল কক্ষের গল্প

ফার্স্ট লুক ও ট্রেলার প্রকাশের সময় ঘোষণা দেওয়া হয়, ১৭ আগস্ট মুক্তি পাবে ‘সাড়ে ষোলো’। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে গতকালই হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে ছয় পর্বের সিরিজটি। মুক্তির দিন পরিবর্তন নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, সাড়ে ১৬ তারিখেই মুক্তি পেয়েছে ‘সাড়ে ষোলো’!

‘সাড়ে ষোলো’–তে আফরান নিশো

সিরিজের প্রথম ঝলকেই রহস্যের জাল বিছিয়েছিলেন নির্মাতা। ট্রেলারে রহস্য সম্পর্কে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। দেখা যায়, একটি হোটেলে সাড়ে ১৬ নম্বরের রহস্যময় একটি কক্ষ রয়েছে। শহরের আলোচিত এক মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন সেই কক্ষেই ঘটে যায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। খুন হন এক নারী। খুনি কে? আলোচিত মামলাটির সঙ্গে এই খুনের সম্পর্ক কী? এমন অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর দেখা যাবে এই চেম্বার ড্রামা সিরিজে।

‘সাড়ে ষোলো’তে রেজা নামে এক আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশো। ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে এখনো আলোচনায় আফরান নিশো। এর মধ্যেই ‘সাড়ে ষোলো’ দিয়ে আবার খবরে তিনি। ইয়াসির আল হকের প্রথম নির্মাণ এটি। তরুণ এই নির্মাতা আলোচিত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন। এরপর একাধিক প্রকল্পে সহকারী পরিচালক হিসেবে দেখা গেছে তাঁকে।

পরিচালক জানান, একটি হোটেলের রহস্যময় ফ্লোরকে কেন্দ্র করে সিরিজটি তৈরি হয়েছে। ‘সাড়ে ষোলো’ দেখতে বসে দর্শকেরা আবিষ্কার করবেন, ঐশ্বর্য ও প্রতারণার বেড়াজালে লুকিয়ে থাকা এক গোপন ঘটনা। নির্মাতা মনে করেন, গল্পে প্রতিটি মুহূর্তের রোমাঞ্চ দর্শকদের সিরিজটির শেষ পর্ব পর্যন্ত দর্শককে ধরে রাখবে। দেখার পর নতুন ভাবনার খোরাক জোগাবে।

ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে সিরিজটির বেশির ভাগ অংশের শুটিং হয়। গত ঈদুল আজহার আগে টানা ১৪ দিন শুটিং হয়। এই সিরিজে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, সাংবাদিক রিনি চরিত্রে জাকিয়া বারী মম, পুলিশের এডিসি আলতাফ চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ, গাফফার চরিত্রে শাহেদ আলী এবং জনসংযোগ কর্মকর্তার চরিত্রে আছেন আফিয়া তাবাসসুম।

‘সাড়ে ষোলো’–তে আফিয়া তাবাসসুম

সিরিজটিতে নিজের চরিত্র নিয়ে আফরান নিশো বলেন, ‘অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও সফল আইনজীবী রেজা; খুবই চতুর মানুষ। পরিবার–অন্তপ্রাণ চরিত্রটি পর্দায় তুলে ধরতে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে।’ হইচইয়ের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে চরিত্রটি নিয়ে নিশো আরও বলেন, ‘নিজের পরিবারের বাইরে কম লোকই রেজাকে ভালো মানুষ হিসেবে চেনে। কিন্তু রেজা এক রাতে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। যে চ্যালেঞ্জ থেকে তাকে নিজেকেই উদ্ধার পেতে হবে। ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী ও সন্তানের কাছে যেমন নিজের ভালো ইমেজ অটুট রাখতে হবে, তেমনি হোটেল থেকে বেরিয়ে আগামীকালের গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতেও হাজির হতে হবে।’

হইচইয়ের আরেক সিরিজ ‘মহানগর’-এর প্রথম কিস্তিতে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন মম। এ ছাড়া দহন ছবিতে করেছিলেন সাংবাদিকের চরিত্র।

‘সাড়ে ষোলো’–তে জাকিয়া বারী মম। পরিচালকের সৌজন্যে

তবে আগে সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করলেও হয়তো একই চরিত্রে অবশ্যই নয় বলে জানান মম, ‘কোনো চরিত্রে দ্বিতীয়বার তৈরি হয় না। এটা ঠিক সন্ধ্যার মতো, কোনো সন্ধ্যা দ্বিতীয়বার হয় না। শহরে অনেক সাংবাদিক, কিন্তু সবাই এক নয়।’ এদিকে ইন্তেখাব দিনার বলেন, ‘আপাতদৃষ্টে খুব সাধারণ চরিত্র মনে হলেও রাকিব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমাকে আমার কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে।’

চেম্বার ড্রামা ‘সাড়ে ষোলো’তে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমতিয়াজ বর্ষণ বলেন, ‘এই সিরিজে সাসপেন্স যেমন আছে, তেমনটি সমাজের জন্য ইতিবাচক কিছু ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়শিল্পী হিসেবে সব সময় ভিন্ন রকম গল্পের খোঁজে থাকি, যেসবের অংশ হতে পেরে ভালো লাগে। আমার কাছে এই গল্প তেমনই। পুরো কাজটি আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতার।’