মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ নিয়ে প্রয়াত তারকা অভিনেতা সালমান শাহর পরিবারের আপত্তির মধ্যে সিরিজটি ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে হইচই। হইচই বাংলাদেশের অধিকর্তা সাকিব আর খান প্রথম আলোকে জানান, সিরিজের কিছু কাজ এখনো চলছে, সেগুলো শেষ করে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ মুক্তি দেওয়া হবে—তা নিশ্চিত করেনি হইচই।
৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর পরিবারের তরফ থেকে সিরিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম। নোটিশে দাবি করা হয়েছে, এটি সালমান শাহকে নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তি বন্ধ না করলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে সিরিজের নির্মাতা তানিম রহমান দাবি করেছেন, সিরিজের সঙ্গে সালমান শাহর কোনো সম্পর্ক নেই।
‘নব্বইয়ের দশকের এক তারকার রহস্যজনক মৃত্যু দেশের মানুষকে স্তব্ধ করে দেয়। যদিও বলা হয়, এটি আত্মহত্যা, কিন্তু অনেকের বিশ্বাস, এটি হত্যাকাণ্ড। তাঁর মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে নামেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর কী ঘটবে?’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ওয়েব সিরিজের গল্প নিয়ে এমন ধারণা দিয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই। জানুয়ারিতে সিরিজের ঘোষণা আসার পর গল্পের প্রেক্ষাপট জেনে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, সিরিজটিতে প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুরহস্য তুলে আনা হয়েছে।
সিরিজে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ‘গোলাম মামুন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব; নব্বইয়ের আলোচিত ওই অভিনেতার চরিত্রে কে থাকছেন, তা এখনো খোলাসা করেননি নির্মাতা তানিম রহমান। সদরঘাট, এফডিসিসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিরিজের দৃশ্য ধারণ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শেষ হয়েছে; ভারতে সিরিজের সম্পাদনা ও রংবিন্যাসের কাজ চলছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে সালমান শাহর বাসা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। দুই যুগ ধরে আদালতে ঝুলে থাকা মামলার প্রথমে তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), এরপর নানা সংস্থা ঘুরে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার রায় না হওয়ায় সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, ২৭ বছরেও সেই জট এখনো খোলেনি। এর মধ্যেই সিরিজটির ঘোষণা নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।