আজ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে নতুন সিরিজ ‘কালপুরুষ’। বাস্তবতা ও যুক্তিকে হার মানানো এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে চরকি অরিজিনাল সিরিজটি।
সালজার রহমান পরিচালিত সিরিজটি দেখা যাবে আজ রাত ৮টা থেকে।
গত কয়েক দিনে টিজার ও ট্রেলার দিয়ে দর্শকদের মনে আগ্রহ তৈরি করেছে সিরিজটি।
‘কালপুরুষ’-এ অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ইমতিয়াজ বর্ষণ, প্রিয়ন্তী উর্বি, সুষমা সরকার, রেজওয়ান পারভেজ, জান্নাতুল মাওয়া লাজুকসহ আরও অনেকে।
সিরিজে দেখা যাবে পরিচয়হীন এক রহস্যময় মানুষ শেহজাদ চৌধুরীকে। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। সিরিজটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কালপুরুষ-এর গল্প ও আমার চরিত্র—দুটোই একদম অভিনব। আমাদের এখানে এমন জনরার কাজ খুব কম হয়। সেই সঙ্গে পরিচালক সালজার ও সহশিল্পীরা প্রত্যেকেই তাঁদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এখানে। এখন অপেক্ষা দর্শকদের কাছে সিরিজটা পৌঁছানোর।’
এ সিরিজে অভিনয়ের জন্য বিরাট শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন এফ এস নাঈম। সিরিজের পোস্টার, টিজার মুক্তির পর এই অভিনেতাকে নিয়ে অন্তর্জালে আলোচনা হয়েছে। এ সিরিজে অভিনয়ের জন্য প্রায় ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন তিনি। এখানে ‘মিরাজ’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে নাঈম বলেন, ‘আসলে চরিত্রটা ধারণ করার জন্যই এমনটা করা। অর্থাৎ মিরাজ চরিত্রটা যেভাবে হাঁটে, কথা বলে, ঘুমায়, সে রকম একটা চরিত্রের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্যই প্রায় ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলাম। আর এটা শুধু শারীরিক পরিবর্তন বললে হবে না, এটা অনেক বড় একটা মনস্তাত্ত্বিক জার্নি। ৮-৯ মাস আমাকে বাড়তি এই ওজন নিয়ে চলতে হয়েছে। এটা একধরনের বিষণ্নতা তৈরি করে। তারপর ছিল শুটিং। সব মিলিয়ে এই জার্নি আমার জন্য একটা সাধনা।’
এ সিরিজ দিয়েই চরকির পর্দায় প্রথমবারের মতো দেখা মিলবে তানজিকা আমিনের। কীভাবে এ সিরিজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রথমে গল্প শোনার পরই আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। পুরো চিত্রনাট্য পড়ার পর মনে হয়েছে, খুব ভালো কিছু হবে। আর আমার চরিত্রটাও বেশ ভিন্ন। সেই সঙ্গে দুর্দান্ত একটা টিম কাজ করেছে। সব মিলিয়েই এ সিরিজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া।’
ওটিটিতে পরিচালক সালজার রহমানের এটাই প্রথম কাজ। রহস্য, সায়েন্স ফিকশন, ড্রামার মিশেলে তৈরি হওয়া সিরিজটির গল্প ও চিত্রনাট্য পরিচালক নিজেই লিখেছেন। কালপুরুষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সিরিজটি মার্ডার মিস্ট্রি হলেও একদম ভিন্ন রকমের উপস্থাপন দেখা যাবে। একটা খুনের মামলার সমাধান করতে গিয়ে নানা কিছু ঘটতে থাকে। সেই ঘটনাগুলো ধরে এগোতে থাকে সিরিজের গল্প।’
সিরিজটির চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। সম্পাদনায় ছিলেন সৈয়দ মেহবুব হোসেন ও সালেহ সোবহান অনীম। কালার গ্রেডিং করেছেন সৈয়দ মেহবুব হসেন, নওশীন সারোয়ার ও সালেহ সোবহান অনীম। আর এ সিরিজে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে ছিলেন সৈয়দ আহমেদ শাওকী।
সাউন্ড ডিজাইন করেছেন আদীপ সিং মানকি ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে অভিষেক ভট্টাচার্য। কস্টিউম করেছেন ইদিলা ফরিদ তুরিন। মেকআপে ছিলেন রুবামা ফাইরুজ। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহাব নূরুন নবী।
কিছুদিন আগেই ঘটা করে ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী তিন বছরে প্রযোজনা সংস্থা ফিল্ম সিন্ডিকেট চরকির জন্য নির্মাণ করবে ১০টি সিরিজ। সে অনুযায়ী এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সিরিজ ‘কালপুরুষ’ মুক্তি পাচ্ছে চরকিতে।