জীবন বাজি রাখা আতিকের অন্তর্দ্বন্দ্বের গল্প‌ ‘অগ্নিপুরুষ’

‘অগ্নিপুরুষ’–এর একটি দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল
দীপ্ত প্লের সৌজন্যে

‘অগ্নিপুরুষ’কোথাও আগুন লাগলে নিজের জীবন বাজি রেখে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এসব ফায়ার ফাইটারদের এবার পর্দায় তুলে ধরছেন পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের চ্যালেঞ্জের গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন ফ্ল্যাশ ফিল্ম ‘অগ্নিপুরুষ’।

‘অগ্নিপুরুষ’–এর একটি দৃশ্য

পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘‌অগ্নিপুরুষ আসলে একজন ফায়ার ফাইটারের জীবনের গল্প। ফায়ার ফাইটাররা আমাদের সবচেয়ে বিপদের সময় পাশে থাকে। অথচ সমাজে তাদের কাজের জন্য তেমন মূল্যায়ন বা সম্মান করা হয় না। আমরা খুব সহজভাবেই তাদের জীবনসংগ্রামটা তুলে ধরতে চেয়েছি।’

দেশে ঘটছে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। অনেক মানুষ মুহূর্তে হারিয়ে ফেলছেন তাঁদের সর্বস্ব। এই অগ্নিকাণ্ডের সময় কিছু মানুষ নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে লড়াই করছেন এই লেলিহান শিখার বিরুদ্ধে। আতিক তাঁদেরই একজন। পেশায় একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। তাঁর ঘরে আছেন স্ত্রী বিউটি।

আতিক আগুন নেভাতে গেলে বিউটির চিন্তার শেষ থাকে না। এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তিনি করতে দিতে চান না স্বামীকে। এরই মধ্যে তাঁদের সন্তান জন্ম নেয়। বিউটির ভয়টা এবার আরও বাড়ে। আতিকও নিজের অনিশ্চিত জীবন নিয়ে পড়ে যান দ্বিধায়। অগ্নিপুরুষ ফিল্মটিতে উঠে এসেছে জীবন বাজি রাখা আতিকের অন্তর্দ্বন্দ্বের গল্প‌।

এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘‌ইদানীং পরপর অনেকগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবারও ফায়ার সার্ভিসের সাহসিকতা ও নির্ভরতার ঘটনা আমাদের সামনে হাজির হয়েছে।

তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় তাদের জীবন আমাদের গল্পে উঠে আসে না।’

‘অগ্নিপুরুষ’-এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার ফাইটারস ডে উপলক্ষে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লে তে ৪ মে মুক্তি পাচ্ছে ফ্ল্যাশ ফিল্মটি।