এশিয়ান একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সিইও ফিয়োনা মেককির (মাঝে) সঙ্গে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি (বামে) ও পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম (ডানে)।
এশিয়ান একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সিইও ফিয়োনা মেককির (মাঝে) সঙ্গে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি (বামে) ও পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম (ডানে)।

এশিয়ান একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস: ড্রামা প্যানেলে রেদওয়ান রনি, ফিকশন প্যানেলে তাওকীর

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনেমা, টেলিভিশন অঙ্গনের মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান একাডেমি ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ডসে ড্রামা প্যানেলের প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পরিচালক ও চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি। এই আসরের ডিরেকশন-ফিকশন প্যানেলের প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ‘শাটিকাপ’ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।

বলিউডের নির্মাতা কবীর খানের সঙ্গে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি

আজ সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী সিজম্যাজ হলে বসছে এবারের আসর; এই আয়োজনে পুরস্কৃত সিনেমা, সিরিজের নাম ঘোষণা করা হবে। এর আগে এ উৎসবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেওয়া ন্যাশনাল উইনারদের নিয়ে প্যানেল ডিসকাসশন হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন রেদওয়ান রনি; ড্রামা প্যানেলের প্যানেললিস্ট হিসেবে তিনি ওয়েব সিরিজসহ বিভিন্ন কনটেন্ট নিয়ে কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অবস্থা কেমন হতে পারে, কী ধরনের কনটেন্টের বেশি চাহিদা হবে, এসব বিষয়ে কথা বলেন রেদওয়ান রনি।

প্যানেল ডিসকাসশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন রেদওয়ান রনি

ড্রামা প্যানেলে রেদওয়ান রনির সঙ্গে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন জাপান থেকে প্রযোজক ডাইসুক কুসাগায়া, মালয়শিয়া থেকে সহযোগী পরিচালক ইমিল্লিয়া রসলান, ফিলিপিন থেকে নির্বাহী প্রযোজক ডনডন, সিঙ্গাপুরের পরিচালক লি থিন-জিন। আর এ প্যানেলে মডারেটর হিসেবে ছিলেন মানশা দাসওয়ানি।
অন্যদিকে ডিরেকশন-ফিকশন প্যানেলের প্যানেলিস্ট হিসেবে ভবিষ্যতের ওটিটিতে ফিকশন গল্প কেমন হতে পারে, কোন ফিকশনের চাহিদা বেশি, এসব নিয়ে কথা বলেন নির্মাতা তাওকীর।

এই আসরের ডিরেকশন-ফিকশন প্যানেলের প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ‘শাটিকাপ’ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।

ফিকশন প্যানেলের তাওকীরের সঙ্গে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ভারতের পরিচালক বাসিল জোসেফ, জাপানের গেকিদান হিতরি, মালয়েশিয়ার ইউসরি আবদুল হালিম, নিউজল্যান্ডের আইদি ওয়াকার ও সিঙ্গাপুরের লি থিন-জিন। আর এই প্যানেলে মডারেটর হিসেবে ছিলেন ভ্যারাইটি এশিয়ার মারকাস লিম।
এই প্রথমবারের মতো এশিয়ান একাডেমি ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নেয় বাংলাদেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর এশিয়ান একাডেমি তাদের ফেসবুক পেজ থেকে এ বছরের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল উইনারের নাম ঘোষণা করে। সেখান তিনটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের চরকি বিজয়ী হয়েছিল। সেরা ফিচার ফিল্ম: খাঁচার ভেতর অচিন পাখি, সেরা ড্রামা সিরিজ: জাগো বাহে, সেরা পরিচালক (ফিকশন) : মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম, শাটিকাপ।

এশিয়ান একাডেমি ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ড প্রতিবছরের ডিসেম্বরে দেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৬টি দেশের চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির শ্রেষ্ঠ কাজগুলোকে সম্মাননা দেওয়া হয়।