গত জুনে ‘ব্লন্ড’–এর টিজার মুক্তির পর অন্তর্জালে ঝড় তুলেছিলেন আনা ডে আরমাস। ছবিটি তৈরি হয়েছে মেরিলিন মনরোর জীবন অবলম্বনে। মনরোর জীবন নিয়ে ছবি, আলোচনা হতে আর কী চাই! আরমাস অভিনয় করেছেন মনরোর চরিত্রেই। টিজারে আরমাসকে দেখার পর অনেক ভক্তের মুখে একটাই কথা—ঠিক যেন মনরো!
ছবিটির গল্প সম্পর্কে যতটা জানা গেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, এতে স্বর্ণযুগের হলিউড ছবির অন্যতম আইকনের প্রায় পুরো জীবনই উঠে আসবে। থাকবে দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো শৈশব থেকে তারকা হয়ে ওঠার গল্প।
টিজার মুক্তির আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরমাস বলেন, ‘মনরো কেমন, শুধু সে অভিজ্ঞতাই পুরো দুনিয়াকে বোঝাতে চাই না, চাই নর্মা জিনকেও (মনরোর আসল নাম) চেনাতে। আমরা এক বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই ছবিটির কাজ করেছি।’
তবে আলোচনার আগেই ছবিটি তৈরি করেছেন অন্য বিতর্ক। ছবিটিকে ‘অ্যাডাল্ড অনলি’ রেটিং দিয়েছে মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন রেটিং সিস্টেম। এই ‘অ্যাডাল্ড অনলি’ বা ‘এনসি–সেভেনটিন’ রেটিং বলতে বোঝায় ছবিটি ১৮ বা এর বেশি বয়সীরা দেখতে পারবেন। এতেই চটেছেন আরমাস। তিনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না ছবিটিকে এমন রেটিং কেন দেওয়া হলো। তাঁর মতে, এই সিনেমার জন্য রেটিংটি একেবারেই অন্যায্য হয়েছে।
একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরমাস বলেন, ‘বুঝতে পারছি না, এটা কেন দেওয়া হলো। আমি অনেক সিরিজ ও সিনেমার নাম বলতে পারি, যেখানে “ব্লন্ড’–এর চেয়ে অনেক বেশি নগ্ন দৃশ্য আছে। মনরোর জীবনের গল্প বলতে গিয়ে যা প্রয়োজন, সেটা আমরা করেছি। শুধু আমি একাই নই, এই ছবির সব অভিনয়শিল্পীই জানেন, আমাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
‘ব্লন্ড’ তৈরি হচ্ছে জয়েস ক্যারল ওটসের লেখা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে। আরমাস জানান, পর্দায় মনরো হয়ে উঠতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি, ‘আমি জয়েসের উপন্যাস পড়েছি, তাঁর শত শত আলোকচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, অডিও রেকর্ড ও সিনেমা দেখেছি। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যই তাঁর কোনো না কোনো আলোকচিত্র প্রেরণায় তৈরি।’ ছবির পরিচালক অ্যান্ড্রু ডোমিনিক। যিনি কয়েক মাস আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দর্শকদের সতর্ক করে বলেন, ‘এটি দর্শককে ক্ষুব্ধ করবে।’
‘ব্লন্ড’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর। তার আগে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রিমিয়ার হবে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে।