স্পাইনাল কর্ডের ইনজুরি নিয়ে শেষবারের মতো মাঠ ছেড়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার পার্থ শেখ। ২৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ফিরলেও ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি।
২০১৫ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি ঘটেছিল তাঁর। ২০১১ সালে ক্রিকেটে নাম লেখান তিনি। উদয়ন ক্রিকেট একাডেমিতে ক্রিকেট শিখেছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রো অনূর্ধ্ব–১৬ ও ১৯ দলে খেলেছেন।
‘তখন সকাল ছয়টায় অনুশীলনে যেতাম। রাত নয়টায় বাসায় ফিরতাম।’ বললেন এক সময়ের বাঁহাতি ওপেনার পার্থ।
তাঁর স্বপ্ন ছিল, একদিন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলবেন। একটি ইনজুরিতে সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। পার্থ বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা ভেঙে গেছে, এটা সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।’
এখনো সেই দুঃস্বপ্ন পার্থকে তাড়া করে বেড়ায়। তবে ভেঙে পড়েননি, নতুন স্বপ্ন বুনেছেন। এটি অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা না ভাঙলে পরের স্বপ্নের পথে হাঁটতেন না তিনি।
স্পাইনাল কর্ডের ইনজুরি নিয়ে শেষবারের মতো মাঠ ছেড়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার পার্থ শেখ। ২৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ফিরলেও ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি।
২০১৫ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি ঘটেছিল তাঁর। ২০১১ সালে ক্রিকেটে নাম লেখান তিনি। উদয়ন ক্রিকেট একাডেমিতে ক্রিকেট শিখেছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রো অনূর্ধ্ব–১৬ ও ১৯ দলে খেলেছেন।
‘তখন সকাল ছয়টায় অনুশীলনে যেতাম। রাত নয়টায় বাসায় ফিরতাম।’ বললেন এক সময়ের বাঁহাতি ওপেনার পার্থ।
তাঁর স্বপ্ন ছিল, একদিন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলবেন। একটি ইনজুরিতে সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। পার্থ বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা ভেঙে গেছে, এটা সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।’
এখনো সেই দুঃস্বপ্ন পার্থকে তাড়া করে বেড়ায়। তবে ভেঙে পড়েননি, নতুন স্বপ্ন বুনেছেন। এটি অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা না ভাঙলে পরের স্বপ্নের পথে হাঁটতেন না তিনি।
‘ওই স্বপ্নটা (জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলা) কখনোই পূর্ণ করতে পারবে না। ক্রিকেটের পরে সবচেয়ে বেশি আগ্রহটা অভিনয়ে। জীবন আমাদের জন্য কী সারপ্রাইজ রেখেছে, সেটা কারোই জানা নেই।’ বলেন পার্থ শেখ।
ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর দুই বছর পর ২০১৭ সালে অমিতাভ রেজার একটি বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে মডেলিংয়ে নাম লেখান পার্থ শেখ। দুই বন্ধুর অডিশন দেখতে গিয়ে সুযোগটা মিলেছিল তাঁর। এরপর বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেলিং করেছেন। ওই বছরই প্রকাশিত ‘শূন্য’ ব্যান্ডের ‘জড়িয়ে দাও’ মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
এর মাঝে বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও কাজ করেননি পার্থ শেখ। আরও শিখেই অভিনয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাচ্যনাটের অভিনয়ের কোর্স করেছেন। এর পর থেকে অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছেন তিনি।
অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে কারাগার, অদৃশ্য, প্রেমকাব্য, মেঘফুল-এর মতো কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পার্থ শেখ।
ক্রিকেট ছাড়ার ৯ বছর পর আবারও ক্রিকেটে ফিরেছেন পার্থ। তবে বাস্তবে নয়, পর্দায়। পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত চরকির বাজি সিরিজে ক্রিকেটার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন তরুণ এই অভিনেতা। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন আরিফুর রহমান।
ব্যাট–প্যাডের সঙ্গে পার্থের সখ্য পুরোনো। ফলে সহজেই চরিত্রে ঢুকতে পেরেছেন তিনি। পার্থের ভাষ্য, ‘ক্রিকেটের নিয়মকানুন আগে থেকেই জানা ছিল। সেটা বেশ কাজে দিয়েছে। আমার ক্রিকেটজীবনের সঙ্গেও অনেকটা মিল রয়েছে চরিত্রের।’
বাজি দেখে দর্শকেরা বলছেন, চরিত্রটাকে বাস্তব করে তুলতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেতা।
হালের টিভি নাটকের উদীয়মান অভিনেতাদের একজন পার্থ শেখ। পাশাপাশি ওটিটিতেও নিয়মিত কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘অভিনয়টা ভালোবেসে ফেলেছি। খুব উপভোগ করছি। অভিনয় করে যেতে চাই। ভালো কাজ করতে চাই।’
ছোটবেলায় প্রচুর বাংলা সিনেমা দেখে বেড়ে উঠেছেন পার্থ শেখ, পাশাপাশি নাটকও দেখেছেন। মাঝে এনামুল করিম নির্ঝরের একটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। সামনে আরও দুটি ওয়েব চলচ্চিত্রে কাজের কথাবার্তা চলছে।
টিভি নাটক, ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি পছন্দের চিত্রনাট্য পেলে নিয়মিত সিনেমাও করতে চান পার্থ শেখ। অভিনয়ে হুমায়ুন ফরীদি, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশো, ফাহাদ ফাসিল, শহীদ কাপুরদের অনুসরণ করেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জে জন্ম নেওয়া পার্থের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজমে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষে এখন এজেন্সিতে চাকরি করছেন তিনি। সেখানে টুকটাক নির্মাণও করেন পার্থ।