২০১৮ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রমের ঘোষণা দেয় ভারতীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভ। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। তবে বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি প্ল্যাটফর্মটি। সম্প্রতি জি-ফাইভ এক বার্তায় জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে জি-ফাইভের আর কোনো কনটেন্ট দেখার সুযোগ থাকছে না। যে গ্রাহকদের কয়েক মাসের সাবস্ক্রিপশন এখনো রয়েছে, তাঁদের অর্থ ফেরতের বিষয়টি জি-ফাইভের ই-মেইল বার্তায় পাওয়া যাবে।
৪ জানুয়ারি সাবস্ক্রাইবারদের কাছে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় এমনটাই জানিয়েছে জি-ফাইভ কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ১৫ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে জি-ফাইভের আর কোনো কনটেন্ট দেখার সুযোগ থাকছে না।
জি-ফাইভ বার্তায় আরও বলা হয়, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বাংলাদেশে আর জি-ফাইভ গ্লোবাল স্ট্রিমিং সার্ভিস থাকছে না।’ তারা বলেছে, ‘আমাদের উদ্যোগে নির্মিত গল্পগুলো দিয়ে আপনাদের বিনোদিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
অনেক গ্রাহক আগেই বছর বা মাসব্যাপী সাবস্ক্রাইব করে রেখেছেন। যদি ১৫ জানুয়ারি থেকে সেবা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যাঁরা অগ্রিম সাবস্ক্রিপশন কিনে রেখেছেন, তাঁদের কী হবে? এই সমস্যার সমাধানও করছে জি-ফাইভ। সাবস্ক্রিপশন অনুযায়ী যাঁর যাঁর দেওয়া অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় ওই ই-মেইল বার্তায়।
যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশে দুটি মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজ করছিল জি-ফাইভ গ্লোবাল। বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে জি-ফাইভে ভারতীয় কনটেন্টের আধিক্য ছিল। বাংলাদেশের ছোট পর্দায় শিল্পীদের সিরিজ নাটকের পাশাপাশি ‘মাইনকার চিপায়’, ‘কনট্রাক্ট’, ‘যদি কিন্তু তবুও’, ‘ঠাণ্ডা’, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ এই ওয়েব কনটেন্টগুলো নির্মাণ করে কিছুটা সাড়া ফেললেও সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয় জি-ফাইভ। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’।