টুপুর
টুপুর

মা–বাবার অভিনয় ও নির্মাণ দেখে বড় হয়েছি

বছর সাতেক আগে অভিনয়ে নাম লেখান মেঘলা সুহাসিনী, দর্শকমহলে যিনি ‘টুপুর’ নামে পরিচিত। চরকির ভাইরাস সিরিজে এক বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। পড়াশোনার সুবাদে ভারতের পাহাড়ঘেরা শহর কালিম্পংয়ে থাকেন টুপুর, গত রোববার সকালে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’।
প্রশ্ন

কালিম্পংয়ের ডক্টর গ্রাহামস হোমস স্কুলের দিনগুলো কেমন কাটছে?

চতুর্থ শ্রেণি থেকে আমি ও আমার বোন টাপুর এখানে পড়াশোনা করছি। এখন আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। পাহাড়ঘেরা জায়গাটি খুব সুন্দর, ঠান্ডা। ভালোই লাগে।

প্রশ্ন

‘ভাইরাস’ সিরিজে এক অতিপ্রাকৃত চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন, সিরিজে যুক্ত হলেন কীভাবে?

টুপুর

নির্মাতা অনম বিশ্বাস আঙ্কেল মায়ের (গোলাম ফরিদা ছন্দা) সঙ্গে কথা বলেছেন। তখনো আমি কালিম্পংয়ে ছিলাম, অনম আঙ্কেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, উনি আমাকে চরিত্রটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। চরিত্রটা চোখ দিয়ে সবকিছু সরাতে পারে। জুন–জুলাইয়ের দিকে ছুটিতে ঢাকায় ফিরেছিলাম, তখন সিরিজটির শুটিং করেছি।

প্রশ্ন

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

তখন খুব গরম ছিল। পূর্বাচল এলাকায় দুই দিন শুটিং করেছি। জীবনে প্রথমবার এ ধরনের চরিত্র করেছি, ফলে কাজটা আমার জন্য কঠিন ছিল। অনম আঙ্কেল, মা ও বোনের পরামর্শ পেয়েছি।

প্রশ্ন

‘ভাইরাস’ দেখেছেন?

গত সপ্তাহে দেখেছি। সিরিজের কনসেপ্টটা দারুণ।

টুপুর
প্রশ্ন

দেশের বাইরে পড়াশোনা ও দেশে কাজ—দুটোর ভারসাম্য রাখেন কীভাবে?

আমি যখন কালিম্পংয়ে থাকি, তখন পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিই। আর ছুটিতে বাংলাদেশে ফিরে কাজ করি, কাজের সময় কাজকেই গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন

স্কুলের বন্ধুরা অভিনয়শিল্পী টুপুরকে নিয়ে কী বলে?

অনেক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায় সহপাঠীরা। আমার নতুন কোনো কাজ এলে দেখে।

প্রশ্ন

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে নিয়ে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা’ চলচ্চিত্রে বঙ্গমাতার কৈশোরের চরিত্রে পাওয়া গেছে আপনাকে।

নির্মাতা গৌতম কৈরী আঙ্কেলও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন, পরে চরিত্রটিতে কাজের সুযোগ পাই আমি। চরিত্রটা খুব শক্তিশালী, কাজটা করে আমার খুব ভালো লেগেছে। অনম আঙ্কেল আর গৌতম আঙ্কেলকে ধন্যবাদ।

প্রশ্ন

অভিনয়ে আপনার স্বপ্ন কী?

ছোটবেলায় মা (ছন্দা) আর বাবার (নির্মাতা সতীর্থ রহমান) অভিনয় ও নির্মাণ দেখে বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমার অভিনয়ের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ পাই, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি নতুন নতুন চরিত্র খুব উপভোগ করি। অভিনয়টাই করে যেতে চাই।

টুপুর
প্রশ্ন

আপনি ও টাপুর যমজ বোন, দুজনই অভিনয় করেন। সেটে পরিচালকেরা নাকি আপনাদের চেহারা গুলিয়ে ফেলেন?

একদম। এটা প্রতিদিনই হয়। ভাইরাস সিরিজের শুটিংয়ের সেটে টাপুরও ছিল। ও বাইরে ছিল, আমি ভেতরে পোশাক বদলাতে গিয়েছি। অনম আঙ্কেল টাপুরকে দেখে বলেছেন, ‘টুপুর এসো।’ তখন ও (টাপুর) বলে, ‘আমি টাপুর।’

প্রশ্ন

অভিনয়ে এলেন কীভাবে?

২০১৬ সালে বাবার (পরিচালক সতীর্থ রহমান) পরিচালনায় খোলস টেলিফিল্মে প্রথমবার অভিনয় করি।