তরুণ নির্মাতাদের মধ্যে নুহাশ হুমায়ূন প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। কাজ দিয়ে দেশের বাইরে এরই মধ্যে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। এবার ‘পেট কাটা ষ’ ওয়েব সিরিজ পরিচালনার জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এ পুরস্কার নেওয়ার সময় অনুষ্ঠানস্থলে তাঁর মা গুলতেকিন খাঁনও উপস্থিত ছিলেন।
সেরা পরিচালকের পুরস্কার জেতার প্রতিক্রিয়ায় নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘এ বছর চার মহাদেশের জন্য চারটি কনটেন্ট বানিয়েছি। আমি বিদেশের জন্য যখন কনটেন্ট বানাই, পুরস্কারের আশা থেকে বানাই। দেশের জন্য যখন বানাই, তখন চাই এটা মানুষ দেখুক, ভাইরাল হোক। আমি তো ভেবেছিলাম, “পেট কাটা ষ” জনপ্রিয় হওয়ার পর নায়িকারা আমাকে মেসেজ পাঠাবেন। তার বদলে দর্শকেরা আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন, “নানিকে জিনে ধরেছে”, সেটা নিয়ে “ষ”-এর সিকুয়েল বানাতে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার মাকে, তিনি ১৩ বছর বয়সে আমাকে ক্যামেরা কিনে দেন। তখন থেকে আমি শর্টফিল্ম বানানো শুরু করি। আজ আমার সামনে মা উপস্থিত আছেন, এটা আমার জন্য বিশেষ একটা ব্যাপার।’
শনিবার সন্ধ্যায় ‘চরকি কার্নিভ্যাল’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চরকি পরিবার। ঢাকার ১০০ ফুটসংলগ্ন এলাকা মাদানী অ্যাভিনিউয়ের ইউনাইটেড সিটিতে শেফস টেবিলের কোর্ট সাইডে সন্ধ্যায় বসে এ আয়োজনের প্রথম আসর। সেখানেই ‘রূপকথার জগতে’ গানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ১৫ মাস পার করছে চরকি। অল্প সময়ে চলচ্চিত্র, সিরিজ, গান দিয়ে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি অর্জন করেছে দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা। বিনোদন অঙ্গনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আস্থার একটি নাম দেশীয় এ প্ল্যাটফর্ম। প্ল্যাটফর্মটিতে অভিনয় করে অভিনয়শিল্পীরা এত দিন কুড়িয়েছেন প্রশংসা। তরুণ মেধাবীদের অনেকেই এ প্ল্যাটফর্ম দিয়ে নিজেদের বিকশিত করেছেন। ব্যতিক্রমী কনটেন্ট তৈরি করে পরিচালক-প্রযোজকেরা পেয়েছেন বাহবা। চরকি প্রথমবার তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম আলোকে এসব জানান চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি।