‘বুলবুল’ থেকে ‘কলা’ হয়ে ওঠা

তৃপ্তি দিমরি
তৃপ্তি দিমরি

বলিউডের তরুণ নায়িকা তৃপ্তি দিমরির অভিষেকটা মোটেও ভালো হয়নি। ‘পোস্টার বয়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন। কিন্তু বক্স অফিসে ছবিটির চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়। পরের ছবিটিও চলেনি। পরে ওটিটির হাত ধরে আসে তৃপ্তির জনপ্রিয়তা। নেটফ্লিক্সের ‘বুলবুল’ তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। এবার ‘কলা’ ছবিতে অন্য এক রূপে আসতে চলেছেন তিনি।

‘কলা’য় তৃপ্তি দিমরি

অনভিতা দত্ত পরিচালিত ‘কলা’য় তৃপ্তি কলকাতার এক তরুণী গায়িকা। গায়িকা হলেও সংগীতকে তিনি ঘৃণা করেন। চল্লিশের দশকের প্রেক্ষাপটে এই ছবির কাহিনি লেখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ‘কলা’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ট্রেলারেই সবার মন জয় করেছেন তৃপ্তি। বলিউডের এই উঠতি নায়িকা জানান, বাস্তবে কলার সঙ্গে তাঁর একদম মিল নেই, ‘সে (কলা) অন্য রকম। আমি একদমই তার মতো নই। কিন্তু সে খুবই বিশেষ মেয়ে। আমি ও অনভিতা মিলে তাকে গড়ে তুলেছি। তবে কলার জন্ম দিয়েছেন অনভিতা। আর আমি তাঁর চোখ দিয়ে কলার দুনিয়াকে দেখেছি। আমার জন্য এটা ছিল এক বিশেষ ভ্রমণ।’

তৃপ্তি দিমরি

তৃপ্তি জানান, এই ছবিতে তাঁর চরিত্রকে রীতিমতো গুলে খেয়েছেন তিনি। চরিত্রের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি ও অনভিতা এক কৌশল তৈরি করেছি। আমরা চরিত্রটিকে তার পাঁচ বছর বয়স থেকে নির্মাণ করেছি। “বুলবুল” ছবির ক্ষেত্রেও তা–ই করেছিলাম। এখানেও একই কৌশল প্রয়োগ করেছি। আর এটা আমাকে নিজের চরিত্রের গভীরে যেতে সাহায্য করেছে। নিজেকে আমি যতটা ভালো চিনি, অতটাই ভালো আমি কলাকে চিনি।’

তৃপ্তি দিমরি

তৃপ্তি আরও বলেন, ‘এই ছবিতে আমি গায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছি। এই ছবির মিউজিক টিমের সঙ্গে দুই দিন গোয়াতে ছিলাম। কীভাবে সংগীতের জন্ম হয়, খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য তখন আমার হয়েছিল। (সংগীত পরিচালক) অমিত ত্রিবেদীকে দেখেছি মাত্র দুই দিনের মধ্যে সংগীতে ম্যাজিক সৃষ্টি করতে। বাবিল (খান), স্বস্তিকা (মুখোপাধ্যায়) ম্যাম, অমিত ত্রিবেদী—তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। একটা পরিবারের মতো হয়ে উঠেছিলাম আমরা। প্রত্যেকের সঙ্গে দারুণ বন্ডিং হয়ে গিয়েছিল। আসলে সবার সঙ্গে আমি সহজে মিলেমিশে যাই।’

‘বুলবুল’–এ তৃপ্তি

আগামী দিনে তৃপ্তিকে বড় পর্দায় দেখা যাবে। ‘অ্যানিমেল’ ও আনন্দ তিওয়ারির নাম ঠিক না হওয়া ছবিতে আসতে চলেছেন তিনি।