দুই বছর আগে শুটিং হলেও এত দিন প্রচার হয়নি ‘নীল জলের কাব্য’। এক নারীর সমুদ্র দেখার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ওয়েব ফিল্ম। অবশেষে সেটি মুক্তি পাচ্ছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দেখা যাবে সিনেমাটি। এতে জুটি হয়েছেন আফরান নিশো ও মেহজাবীন। এদিকে মুক্তির আগে গতকাল বুধবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেহজাবীন বলেন, এত দিন পর কাজটি সবার সামনে আসছে, আপাতত এতেই তিনি খুশি।
নীল জলের কাব্য’ পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে তিনবার শুটিং বন্ধ করতে হয়। শেষ পর্যন্ত কাজটা শেষ করে যে দর্শকের সামনে উপস্থিত করতে পারছি, এ জন্য মেহজাবীনকে কৃতিত্ব দেব। কারণ এই প্রজেক্ট যেন হয়, তার পেছনে যদি একজন শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে, সে মেহজাবীন। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রজেক্টটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।’
মুক্তির আগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ইস্পাহানি মির্জাপুর টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, নির্মাতা শিহাব শাহীন, ‘নীল জলের কাব্য’র দুই প্রধান অভিনয়শিল্পী নিশো ও মেহজাবীন এবং আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।
শুরুতেই রিয়াজ বলেন, ‘মধ্যবিত্ত সমাজে আমরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করি। আমাদের অসংখ্য স্বপ্ন, স্বপ্নতেই শেষ হয়ে যায়। সেই স্বপ্নজয়ের গল্প হচ্ছে ওয়েব ফিল্ম “নীল জলের কাব্য”।’
ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে মেহজাবীন আরও বলেন, ‘২০২১ সালে নতুন ধরনের একটি গল্প খুঁজছিলাম। তখন “নীল জলের কাব্য”–এর মতো একটা গল্প পাই শিহাব ভাইয়ের মাধ্যমে, পড়েই তখন খুব রিফ্রেশিং লেগেছিল। বহুবার শুটিং শুরু করে বন্ধ করতে হয়েছে নানা কারণে, গত আগস্টে কাজটি শেষ হয়। এখন আইস্ক্রিন দর্শকের সামনে নিয়ে আসছে আমাদের খুব আকাঙ্ক্ষিত একটি কাজ, আশা করি সবাই দেখবেন।’
কথায় কথায় মেহজাবীন এ-ও জানান, তাঁর অভিনয় জীবনে কোনো কাজ এত দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকেনি। নিশো বলেন, ‘“নীল জলের কাব্য” গল্পটি আমার অন্তরের খুব কাছের ছিল। আমার মনে হয়, এ কাজটি শেষ করতে প্রত্যেকেই আন্তরিক ছিল। সময় গেলেও শেষ পর্যন্ত কাজটি দর্শকের সামনে আসছে, এটাই বড় কথা।’
সংবাদ সম্মেলনে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘অনেকগুলো স্তর পার হয়ে একটি কাজ সম্পূর্ণ হয়। “নীল জলের কাব্য” সব স্তর পার হয়ে এখন শেষ স্তরে।
আর সেই স্তরটি সাংবাদিক বন্ধুদের সহযোগিতায় দর্শকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এটি এমন একটি ওয়েব ফিল্ম, যেটি পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে একসঙ্গে দেখা যাবে।’