ওটিটির দুনিয়ায় এন্তার থ্রিলার কনটেন্ট, তবে সম্প্রতি মার্ডার মিস্ট্রি নয়, আলোচনায় এক রোমান্টিক–কমেডি সিরিজ। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তির পর নেটফ্লিক্সের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ‘নোবডি ওয়ান্টস দিস’। মুক্তির এক মাস পরও সিরিজটি এখন তৃতীয় অবস্থানে আছে।
নোয়া রকলভ লোক সুবিধার নয়। অন্যদিকে জোয়ান পেশায় ডেটিং পডকাস্টার, যার মেজাজ সব সময়ই তিরিক্ষি হয়ে থাকে। অদ্ভুতভাবে নোয়া আর জোয়ান সম্পর্কে জড়ায়। এরপর কী হয়, তা নিয়েই এরিন ফস্টারের সিরিজটির গল্প। প্রধান দুই চরিত্রে দেখা গেছে, ক্রিস্টেন বেল আর অ্যাডাম ব্রডিকে। ২০১১ সালে স্ক্রিম ৪-এরপর আবার একসঙ্গে পাওয়া গেল দুই তারকাকে।
একসময় প্রচুর রোমান্টিক–কমেডি সিনেমা, সিরিজ হতো। থ্রিলারের রমরমা শুরুর পর যা অনেকটাই কমে গেছে। ‘নোবডি ওয়ান্টস দিস’ সেই পুরোনো আমেজ ফিরিয়ে এনেছে। এটিকেও সিরিজটি জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সমালোচকেরা। ওটিটির যুগ শুরু হওয়ার পর ক্রিস্টেন বেল ও অ্যাডাম ব্রডিও সেভাবে আলোচনায় নেই; ১০ পর্বের এই সিরিজ দিয়ে বলা যায় দুই তারকার নতুন যাত্রা শুরু হলো।
‘সিরিজটি আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি তৈরি করেছি আমার নিজের জীবনে বা আশপাশে দেখা নানা ঘটনার প্রেরণা নিয়ে। তবে দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীরা আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন,’ চলচ্চিত্রবিষয়ক অনলাইন গণমাধ্যম ডেডলাইনকে বলেন ‘নোবডি ওয়ান্টস দিস’-এর নির্বাহী প্রযোজক।
সিরিজটিতে কাজ করে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে ক্রিস্টেন বেলের। অনলাইন গণমাধ্যম ই! নিউজকে তিনি বলেন, আজকাল বেশির ভাগই তরুণ বা কিশোরদের প্রেমকাহিনি হয়। সেদিক থেকে এই সিরিজ ব্যতিক্রম। এখানে একটু পরিণত বয়সীদের প্রেম দেখানো হয়েছে। তবে সেটা দেখানো হয়েছে এখনকার সময়ের মতো করে।
অভিনেত্রী জানান, তাঁর স্বামী অভিনেতা ও নির্মাতা ড্যাক্স শেপার্ডও দারুণ পছন্দ করেছেন সিরিজটি। নোবডি ওয়ান্টস দিস-এ পর্দায় ক্রিস্টেন বেল ও অ্যাডাম ব্রডির রসায়ন ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
অ্যাডাম ব্রডি মনে করেন, পর্দার বাইরে দুজনের দারুণ বোঝাপড়া এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। ‘দ্য হলিউড রিপোর্টার’কে তিনি বলেন, ‘আমার বর্তমান এজেন্টের স্ত্রী ক্রিস্টেন বেলের স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজ করেন, ফলে আমাদের মধ্যে সব সময়ই নানা বিষয়ে কথা হয়।’
মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় এর মধ্যেই পরের মৌসুম নিশ্চিত করেছে নেটফ্লিক্স।