এই সিনেমার এত জনপ্রিয়তার কারণ কী?

সিনেমাটির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
সিনেমাটির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘আইরিশ উইশ’। রোমান্টিক এই সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই নেটফ্লিক্সে দেখা সিনেমার মধ্যে শীর্ষ রয়েছে। কিন্তু সিনেমাটির আইএমডিবি রেটিং অ্যাভারেজ। গত দুই সপ্তাহে ওটিটি থেকে আড়াই কোটির বেশি দর্শক সিনেমাটি দেখেছেন। রেটিং কম নিয়েও কেন এতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘আইরিশ উইশ’?

লিন্ডসে লোহান রোমান্টিক ও কমেডি সিনেমার জন্য আগে থেকেই পরিচিত। রোমান্টিক ও কমেডি গল্পে অভিনয় দিয়ে দর্শক ধরে রাখা কঠিন, সেটা জানা ছিল। আয়ারল্যান্ডের সে গল্পটি লোহানের জন্য অনেকটাই সহজ হয়েছিল। ফোর্বস ম্যাগাজিনকে এই অভিনেত্রী জানান, তাঁদের দাদার বাড়ি ছিল আয়ারল্যান্ডে। যে কারণে সহজেই আয়ারল্যান্ডের উপকূল অঞ্চলের কোনো মেয়ের চরিত্রে মানিয়ে নিয়েছিলেন।
সাবলীল অভিনয় ছাড়াও সিনেমাটির লোকেশন দর্শকেরা পছন্দ করেছেন।

সিনেমার একটি দৃশ্যে। ছবি: আইএমডিবি

আয়ারল্যান্ডের পূর্ব উপকূল অঞ্চলের ঐতিহাসিক অনেক জায়গা দর্শকদের চোখ জুড়িয়েছে, যা দর্শকদের ধরে রেখেছিল। বলা যায়, আয়ারল্যান্ডের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সৌন্দর্য ধরা দিয়েছে ফ্রেমে ফ্রেমে। এ ছাড়া গল্পের উপস্থাপনায় ছিল চমক।
রোমান্টিক ও কমেডি ঘরানার এই সিনেমাটিতে দেখা যায়, বইয়ের সম্পাদক ম্যাডি কেলি; যার সঙ্গে একত্রে কাজ করতে গিয়ে প্রকাশক পল কেনেডির প্রেম হয়। তাদের সম্পর্ক বেশ ভালোই চলছিল। এগোচ্ছিল বিয়ের দিকে। এর মধ্যে পল আরেক মেয়ের প্রেমে পড়ে। তার নাম এমা। এই এমা আবার পলের আগের প্রেমিকা ম্যাডির বান্ধবী। তাকেই কিনা সে আয়ারল্যান্ডে বিয়ে করতে যাচ্ছে। এমন তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যালেক্সজেন্ডার ভালাওস, লিন্ডসে লোহান ও এলিজাবেথ টান।

একটি দৃশ্যে লোহান। ছবি: আইএমডিবি

বান্ধবীর সঙ্গে প্রাক্তনের বিয়ে কথা শুনে হৃদয় ভেঙে যায় ম্যাডির। একসময় সে নিজেও এক ফটোগ্রাফারের প্রেমে পড়ে। কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে দোটানায় ছিল। সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে কি তিনি খুঁজে পেয়েছেন? এই ছিল দ্বন্দ্বের কারণ? ম্যাডি একদিন আইরিশ একটি জাদুকরি ইচ্ছার কথা জানায়। তার ইচ্ছা ছিল, সত্যিকারের একজন প্রেমিকের দেখা পাওয়া। যে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করবে। আইরিশ এই ইচ্ছাকে নিয়েই এবার এগোতে থাকে সিনেমার গল্প। ইচ্ছা পোষণের পরের দিন নতুন এক সমস্যার মুখোমুখি হয়। এই ভালোবাসার মানুষের জন্য একটুও প্রস্তুত ছিল না ম্যাডি।

সিনেমাটি ইতিমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

টিভি সিরিজ লিখে পরিচিতি পেলেও ক্রিশ্চিয়ান হ্যানসেনের লেখা ‘আইরিশ উইশ ’ প্রথম সিনেমা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আরেক নারী নির্মাতা জানিন ডামিয়ান। আগে তিনি প্রযোজনা করলেও গত বছর ‘ফিলিং ফর ক্রিসমাস’ ছিল তাঁর প্রথম নির্মাণ। পরে নির্মাণ করেন ‘আইরিশ উইশ’।