শৈশবে প্রথম যেদিন মঞ্চে উঠেছিলেন, সেদিন অভিনয় সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এরপর বিভিন্ন থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। যখন অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করেন, তখন গ্রামের কেউ কেউ মাকে তাঁর সম্পর্কে বলতেন, ‘কালো’, ‘খাটো’, ‘ও মিডিয়ায় কিছু করতে পারবে না’, এমন নানা কথা। মানুষের অবহেলা পেলেও কিশোরগঞ্জের সেই ছেলে পাশে পেয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে।
ছেলেটি এখন অভিনয় দিয়ে তাঁকে উপহাস, অবহেলা করা সেই মানুষদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে যাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, আবদুল্লাহ আল সেন্টু। ‘বাংকার বয়’, ‘কারাগার’, ‘শুক্লপক্ষ’-এ প্রশংসিত হওয়ার পর এবার ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। আবার তিনি প্রমাণ করেছেন, অভিনয়ে এসে ভুল করেননি।
এবারের ঈদে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম স্পিন-অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’।
এই সিরিজে প্রধান চরিত্র অ্যালেন স্বপনের ছেলের নাম জাদু। এই জাদু চরিত্রটি আকৃষ্ট করেছে দর্শকদের। স্ক্রিন টাইম কম হলেও এতেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে জাদু চরিত্রটি। আর এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেই ‘অবহেলিত ছেলে’ আবদুল্লাহ আল সেন্টু।
প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেন্টু জানিয়েছেন, মানুষের এই অবহেলাই তাঁকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। ২০১৮ সালে মাসুদ আহমেদের শর্ট ফিল্ম দিয়ে পর্দায় অভিনয় শুরু। পরে খন্দকার সুমনের ‘সাঁতাও’ সিনেমায় কাজ করেন সেন্টু। তিনি বলেছিলেন, ‘মাত্র অভিনয়ে পা রেখেছি, তাতেই যাঁরা অবহেলা করতেন, তাঁরা তাঁদের ভুল স্বীকার করেছেন।’
কিছু লোক এখনো অবহেলা করেন। তাই তো সবার মুখ বন্ধ করতে পুরোদস্তুর অভিনেতা হয়ে উঠতে চান সেন্টু। চাকরি পেয়েছিলেন, কিন্তু অভিনয় ছেড়ে থাকতে পারেননি। অভিনয় তাঁর কাছে একটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই আগামী দিনগুলোতে এগোতে চান সেন্টু।