তাসনিয়া ফারিণ। ফেসবুক থেকে
তাসনিয়া ফারিণ। ফেসবুক থেকে

সব মিলিয়ে বিয়েটা আমার জন্য আশীর্বাদ: তাসনিয়া ফারিণ

গত ১৪ আগস্ট হঠাৎ বিয়ের কথা জানান তাসনিয়া ফারিণ। এ সময়ের অন্যতম ব্যস্ত এই তারকা ১১ আগস্ট শেখ রেজওয়ানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। বিয়ের পর পেরিয়ে গেছে মাস দেড়েক। এর মধ্যে নতুন কাজের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফারিণ।

গত বৃহস্পতিবার ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত, মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলনে’। এ উপলক্ষে গত বুধবার প্রথম আলোর আয়োজন ‘মেরিল-ক্যাফে লাইভ’-এ এসেছিলেন ফারিণ। সেখানেই নিজের বিয়েসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী।

বিয়ের কয়েক দিন পরই প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দেন ফারিণ। তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তারকাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করেন, বিয়ের পর তাঁদের ভক্ত কমে যাবে। সেই আশঙ্কা কি আপনারও আছে?

তাসনিয়া ফারিণ। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে

উত্তরে তখন ফারিণ বলেছিলেন, ‘আমার এই আশঙ্কা কোনো দিনই ছিল না। আমার জীবনের কোনো সিদ্ধান্ত নেব, ভক্তদের কথা ভাবতে হবে কেন? ভক্তরা আমার পর্দার কাজকে ভালোবাসেন। আমিও তাঁদের ভালোবাসি। আর প্রিয় তারকার জীবনের ভালো কোনো কাজ, পবিত্র কাজে যদি ভক্তদের সমর্থনই না থাকে, তাহলে কিসের ভক্ত! আমার মনে হয়েছে, বিয়ের পর ভক্ত আরও বেড়েছে। বিয়ের খবর আর ছবি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পর সবার যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি, মুগ্ধ আমি।’

‘মেরিল-ক্যাফে লাইভ’-এর আয়োজনেও ফারিণের কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘বিয়ের পর তাঁর কি জনপ্রিয়তা বেড়েছে?’ উত্তরে স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আসলে জানি না। এটা আমি বিচার করতে পারি না। তবে বিয়ের পর আমাকে সবাই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।’

একই অনুষ্ঠানে বিয়েকে ‘আশীর্বাদ’ উল্লেখ করে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘অবশ্যই বিয়ে আমার জন্য আশীর্বাদ। যেদিন আমি বিয়ের ডেট চূড়ান্ত করি, সেদিনই আমার কাছে দুটো ভালো কাজের প্রস্তাব আসে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত জীবনও ভালো যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বিয়েটা আমার জন্য আশীর্বাদ। বিয়েটাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি।’

চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘পুনর্মিলনে’ -এ জুটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে সিয়াম-ফারিণের

অনুষ্ঠানে বিয়ের আগে প্রেমিককে প্রকাশ্যে না আনার কারণও জানান অভিনেত্রী, ‘একটা সম্পর্ক যতক্ষণ পর্যন্ত না পরিণতি পায় ততক্ষণ তাকে কীভাবে পরিচয় করিয়ে দেব। আমার “বয়ফ্রেন্ড” বা এ ধরনের শব্দে অ্যালার্জি আছে। তখন পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কোনো পরিচয় ছিল না। আমরা সব সময়ই বড় কিছুর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম।’