হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ নিয়ে প্রয়াত তারকা অভিনেতা সালমান শাহর পরিবারের আপত্তির পর সিরিজটি তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাধারণ ডায়েরির পাশাপাশি সিরিজের নির্মাতাকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন সালমানের পরিবার।
সিরিজটি ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও আলোচনার মধ্যে তা পেছানোর ঘোষণা দেয় হইচই। পেছানোর কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, সিরিজের কিছু কাজ বাকি থাকায় মুক্তি দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে মুক্তি দেওয়া হবে।
তার ১৫ দিন পর অনেকটা নীরবেই সিরিজটি মুক্তি দিয়েছে হইচই। বৃহস্পতিবার রাতে আট পর্বের সিরিজটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পর্বগুলোর নাম—‘ফিরে আসার গল্প’, ‘বন্ধু নাকি শত্রু’, ‘চেনা যখন অচেনা’, ‘স্নেহের ছলনা’, ‘উত্থান-পতন’, ‘প্রণয়ের পালাবদল’, ‘পতনের প্রস্তুতি’, ‘হত্যা নাকি আত্মহত্যা?’
তানিম রহমান পরিচালিত সিরিজে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম মামুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সিনেমায় তারকা অভিনেতার চরিত্রে পাওয়া গেছে ইয়াশ রোহানকে। সেই চিত্রতারকা মৃত্যুরহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব পান গোলাম মামুন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর পরিবারের তরফ থেকে সিরিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম। নোটিশে দাবি করা হয়েছে, এটি সালমান শাহকে নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তি বন্ধ না করলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে সিরিজের নির্মাতা তানিম রহমান দাবি করেছেন, সিরিজের সঙ্গে সালমান শাহর কোনো সম্পর্ক নেই।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে সালমান শাহর বাসা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। দুই যুগ ধরে আদালতে ঝুলে থাকা মামলার প্রথমে তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), এরপর নানা সংস্থা ঘুরে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার রায় না হওয়ায় সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, ২৭ বছরেও সেই জট এখনো খোলেনি।