সব সময় বাঁধন মনে করতেন শুধু মেধাবী অভিনয়শিল্পীরাই এমন কোনো চরিত্রে নাম লেখিয়ে প্রশংসা পেতে পারেন। তাঁর কথায় এসব তারকার মধ্যে আছেন নাসিরউদ্দীন শাহ, নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকীর মতো অভিনেতরা। তাঁরা দু–একটি দৃশ্যে অভিনয় করলেও সেটা দর্শকেরা মনে রাখেন। কিন্তু এবার বাঁধনও এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন, যেখানে পর্দায় তাঁর উপস্থিতি স্বল্প সময়ের।
এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি এটা সব সময় শুনে এসেছি, স্বল্প ব্যাপ্তির চরিত্রগুলো বড় তারকারা করলে তাঁরাই প্রশংসা পান। সেখানে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র অভিনয়শিল্পীকে দর্শক মনে রাখেন, সেটা অবশ্যই আলাদা প্রাপ্তি।’
‘খুফিয়া’র পরিচালক বিশাল ভারদ্বাজ। এ সিনেমা দিয়ে বলিউডে এবার অভিষেক হলো বাঁধনের। সিনেমার চরিত্রটি নিয়ে বাঁধনের আস্থা ছিল, দর্শক পছন্দ করবেন। সেখানেও একসময় জটিলতা তৈরি হয়। একসময় এই অভিনেত্রীর মনে সন্দেহ হয়, গল্পের যে প্রেক্ষাপট সেখানে দেখানো হয়েছে, তা দেখার পর বাংলাদেশের দর্শকেরা ভুল না বোঝেন। কিন্তু হয়েছে উল্টো, ভারতীয় অভিনেত্রী টাবুর সঙ্গে প্রশংসিত হন বাঁধনও।
চলচ্চিত্রবিষয়ক ভারতীয় গণমাধ্যম ফিল্ম কম্পানিয়ন। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের পাঁচ নায়িকা নিয়ে একটি তালিকা করেছে তারা, যাঁরা অভিনয় দিয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। এই পাঁচ অভিনেত্রীর সংক্ষিপ্ত তালিকার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘কুলেস্ট হিরোইন’। এ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের বাঁধন। ‘খুফিয়া’র হেনা রেহমান চরিত্রটি দিয়েই এই সাফল্য। গণমাধ্যমটি বাঁধন সম্পর্কে লিখেছে, টাবুর ওপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু বাঁধনের হেনা চরিত্রটি তীব্রভাবে রহস্য ছড়ায়, একই সঙ্গে চরিত্রটির সাবলীল অভিনয় চোখ ফেরাতে বাধ্য করে।
‘খুফিয়া’র সমালোচনা লিখতে গিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াতে বলা হয়েছে, গোয়ান্দা চরিত্রে টাবুর অভিনয় ভালো ছিল, আতুল কুলকারর্নিও ভালো করেছেন। আলী ফজলের চরিত্রের উপস্থাপনা দারুণ ছিল।
বলতে হয়, বাংলাদেশের অভিনেত্রী বাঁধনের কথা। বাঁধন চরিত্রটি স্বল্প সময়ের জন্য হলেও সেখানে ভালো অভিনয় করেছেন।
ভারতের জনপ্রিয় পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের সঙ্গে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের পরিচয় ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তার পর থেকে তাঁদের যোগাযোগ, বন্ধুত্ব। অনুরাগ কশ্যপের সূত্রে ভারতের আরেক গুণী পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে পরিচয় বাঁধনের।
বাঁধন বলেন, ‘অনুরাগ কশ্যপের কারণেই বিশাল ভরদ্বাজের মতো আরেক খ্যাতিমান পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরে আমার “খুফিয়া”য় কাজ করার সুযোগ হয়। এমন না যে গিয়েই কাজ পেয়েছি। তাঁরা আমার অভিনীত কাজগুলো দেখেছেন। পরে আমাকে অডিশন দিতে ডাকা হয়। তারপর চুক্তিবদ্ধ হই। পরে টিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সময় থেকে বিশাল ভরদ্বাজ স্যারের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ হয়। সিনেমাটি নিয়ে কথা হচ্ছে। আমার চরিত্র নিয়ে কে কী বলছেন জানতে পারছি। বলিউডের দর্শক–সমালোচকদের কাছ থেকে চরিত্রটি নিয়ে এত সাড়া পাব ভাবিনি।’