বাংলা সিনেমার খল অভিনেতা ডিপজল। তাঁর কোনো প্রসঙ্গ এলেই সবার আগে এই অভিনেতার একটি চেহারা ভাসে। তাঁর সংলাপগুলো মনে করিয়ে দেয় পর্দার এক ‘ভয়ংকর মানুষ’কে। এবার সেই ডিপজলের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন ওটিটির ভক্তরা। গতকাল চরকিতে মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। ওয়েব ফিল্মটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঢালিউডের এই খল অভিনেতা। ওটিটিতে অন্য এক ডিপজলের দেখা পেলেন দর্শক।
‘আহো ভাতিজা আহো’, ‘আমি সিল মাইরা দিমু’, ‘তোরে আমি খায়া ফালামু’, ‘আমারে চিনস, তোর কি মরণের ইচ্ছা হইছে’, ‘তুই কি আমাকে ফুটপাতের মাস্তান ভাবছস’—বাংলা সিনেমার খলনায়ক ডিপজলের মুখে এমন অনেক সংলাপ শোনা গেছে। এর বাইরে এবার নেতিবাচক চরিত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম। চরিত্র ও সংলাপে দর্শকদের কাছে আলাদা হয়ে রইলেন এই অভিনেতা।
‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় তাঁর চরিত্রের গুরুত্ব থাকলেও তেমন সংলাপ ছিল না। তাঁকে দেখানো হয়েছে নেতা হিসেবে। কিন্তু চরিত্রটি একদম গোছানো। আজহার মাহমুদ চরিত্রে যাঁকে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় মুঠোফোনের পর্দায় চোখ রাখতে। নেতা হিসেবে চরিত্রটি দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। অভিনয়ে অতিরঞ্জন ছিল না। দেশের এক নেতার নেতিবাচক চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে দর্শক দেখলেও অভিনয়ের বৈচিত্র্য ছিল। সিনেমায় ফারহান চরিত্রের অভিনেতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী যখন এই নেতার কাছে ক্ষমা চাইতে যান তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সংলাপ বলা শুনে দর্শক করতালি দিয়েছেন।
গতকাল হয়ে গেল ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী। সিনেমাটির প্রদর্শনীর আগেও জানা যায়নি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ডিপজল। সব মিলিয়ে পর্দায় পাওয়া গেল চমক। সিনেমায় ফারহানের স্ত্রী তিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
অভিনেত্রী তিথি ও তাঁর নির্মাতা স্বামী ফারহানের পক্ষ থেকে তাঁদের সদ্যোজাত কন্যার উদ্দেশে লেখা লাভ লেটার ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। বাইরে থেকে দেখলে এটা সন্তানের দুনিয়াতে আগমন পর্যন্ত একপ্রকার দিনলিপি হলেও ভেতরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তি থেকে সমাজ হয়ে রাষ্ট্রের নানা চেহারা। ৮২ মিনিটের ‘অটোবায়োগ্রাফি’তে ফারুকী এভাবেই গল্প ফেঁদেছেন। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, লেলিন প্রমুখ।