তিনি সুদর্শন। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত চোখে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা। মাথার ভেতর সব সময় চলে নানা সমীকরণ। যদি বলা হয় গত কয়েক বছরে ছোট পর্দার ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র তিনি, তাহলে খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। তিনি মানি হাইস্ট–এর অধ্যাপক আলভারো মর্তে। সিরিজে তাঁর আসল নাম সার্হিও মার্কিনা। আলভারো অধ্যাপকের চরিত্রটিকে যেভাবে পর্দায় জীবন্ত করেছেন, দর্শকদের তা ভোলা কঠিন।
অধ্যাপক ঠিক করলেন, তিনি একটি দল গড়বেন। দল নিয়ে স্পেনের জাতীয় টাঁকশাল থেকে ২৪০ বিলিয়ন টাকা ছাপবেন। তারপর ছড়িয়ে পড়বেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। শুরু হলো চোর–পুলিশের খেলা। ইন্সপেক্টর রেক্যাল মুরিলোর সঙ্গে হয়ে গেল অধ্যাপকের প্রেম। টোকিও আর রিও জুটির কোটি ভক্ত জুটে গেল, নাইরোবির মৃত্যু আজও দর্শক হৃদয়ে করুণ সুর হয়ে বাজছে। সব মিলিয়ে মানি হাইস্ট–এর দর্শকেরা রীতিমতো হাঁ করে তাকিয়ে আছেন, কবে আসবে পরের মৌসুম!
সুখবর দিয়েছে নেটফ্লিক্স। তারপর কী হলো—এর জবাব মিলবে দুই ধাপে। পঞ্চম আর শেষ মৌসুমকে দুভাগ করে ফেলা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে প্রথম পর্ব। আর এর তিন মাস পর, ৩ ডিসেম্বর থেকে দেখা যাবে সর্বশেষ পর্ব। ঘোষণার পর থেকেই ‘বেলা চাও, বেলা চাও’ গানটি চালিয়ে দিন গুনতে শুরু করেছেন মানি হাইস্ট–ভক্তরা।
স্প্যানিশ ‘লা কাসা দে পাপেল’ বা মানি হাইস্ট যখন মুক্তি দেওয়া হয়, তখন নির্মাতারা ভেবেছিলেন, দুটি পর্বে বলবেন একটা ব্যাংক ডাকাতির গল্প। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা দেখে তাঁরা স্তম্ভিত হয়ে যান। তৈরি করেন নতুন নতুন পর্ব। নেটফ্লিক্স ২০২০ সালে রেকর্ড পরিমাণ দামে কিনে নেয় সিরিজটি। আর বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায় এর চরিত্রগুলো। পঞ্চম পর্ব নিয়ে ‘টোকিও’খ্যাত স্প্যানিশ অভিনেত্রী উরসুলা কোরবেরো ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমরা শেষবারের মতো আসছি। এই পাঁচ বছর আমরা ছিলাম একটা পরিবারের মতো। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় এই পাঁচ বছর। শেষটা দেখে চমকে উঠবেন, ভালো লাগবে। আপনাকে বলতেই হবে—দারুণ।’