মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের কথা এলে ‘জীবন থেকে নেয়া’র প্রসঙ্গ চলে আসে। পাকিস্তান সেন্সর বোর্ড তাই জহির রায়হানের এই সিনেমাকে আটকে দিয়েছিল। কিন্তু জহির হার মানেননি। সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। সেই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সালেহ সোবহান বানিয়েছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লাইটস, ক্যামেরা...অবজেকশন’। চরকি অরিজিনাল এ ছবি থাকতে পারে স্বাধীনতা দিবসের কনটেন্ট দেখার তালিকায় শীর্ষে।
বাংলাদেশ উদ্যাপন করছে বিজয়ের ৫০ বছর। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা কনটেন্ট। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নাটক, সিরিজ, অ্যান্থলজি সিরিজ, সিনেমা ইত্যাদি। সেই সূত্র ধরে এবং স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একগুচ্ছ কনটেন্ট দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। কোনোটি দর্শনীর বিনিময়ে আবার কোনোটি দেখা যাবে বিনা মূল্যে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চরকিতে দেখা যাচ্ছে অ্যান্থলজি সিরিজ ‘জাগো বাহে। লাইটস, ক্যামেরা...অবজেকশন ’এ সিরিজেরই একটি ছবি। বাকি দুটো হলো সিদ্দিক আহমেদের শব্দের খোয়াব ও সুকর্ণ ধীমানের ‘বাংকার বয়’। এ ছবিগুলো তৈরি হয়েছে ভাষা আন্দোলন, সত্তর ও একাত্তরের প্রেক্ষাপটে। গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জাগো বাহে’ সিরিজ নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছিল।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে অ্যানিমেশন ছবি ‘মুজিব আমার পিতা’। বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা ঘটনা উঠে এসেছে এ ছবিতে। সোহেল মোহাম্মদ পরিচালিত ছবিটি আলাদা স্বাদ জাগাবে বলা যায়।
সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’। নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ছবিটিতে একঝাঁক তারকা অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। জয়া আহসান, ফেরদৌস, এ টি এম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখদের দেখা গেছে এ ছবিতে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১০টি শাখায় জিতে নিয়েছিল পুরস্কার। চাইলেই এ ছবিও চট করে দেখে নিতে পারেন চরকিতে।
মাহমুদুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস খেলাঘর অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবি ‘খেলাঘর’। মোরশেদুল ইসলাম তৈরি করেছেন এ ছবি। সেখানে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সোহানা সাবা, আরমান পারভেজ মুরাদ, গাজী রাকায়েত, আবুল হায়াত প্রমুখ। এ ছবিও থাকতে পারে দেখার তালিকায়। এ ছাড়া এই নির্মাতার ‘আগামী’ ছবিটিও দেখতে পারেন স্বাধীনতার এই মাসে।
মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করতে তালিকায় লিখে নিতে পারেন আরও কিছু ধ্রুপদি সিনেমা। পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ সিনেমার কথা কে না জানে। এ ছবিতে কাজ করেছিলেন একঝাঁক সৃজনশীল মানুষ। অভিনয়ে ছিলেন ফারুক, ববিতা, রাজ্জাক, সুজাতা, খলিল, রোজী আফসারী, আনোয়ার হোসেনের মতো অভিনেতারা। এ ছবির গানের সুর করেছেন খান আতাউর রহমান আর সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সত্য সাহা। গানগুলো গেয়েছেন আবদুল জব্বার, সাবিনা ইয়াসমীনের মতো শিল্পীরা। সবকিছু মিলে বাংলাদেশের একটি নান্দনিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা আলোর মিছিল। ছবি দেখার তালিকায় রাখা যেতে পারে এ ছবিও।
এ ছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের পদ্মসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা কনটেন্টের পসরা সাজিয়েছে চরকি। আর এগুলো এক জায়গায় পেতে পারেন খুব সহজেই। এর জন্য যেতে হবে এই লিংকে https://www.chorki.com/genre/patriotic-movie