তিনটি আলাদা গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে অমনিবাস চলচ্চিত্র ‘জাগো বাহে’। আলাদা হলেও একটি সুতোয় বাঁধা গল্পগুলোর মূল সুর। সেটি হলো বাঙালির মুক্তির লড়াই। নগদ নিবেদিত এই অমনিবাস দেখা যাবে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি রেস্তোরাঁয় জাগো বাহের ট্রেলার প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চরকি।
ট্রেলারে দেখা গেল, চঞ্চল চৌধুরীকে অভিনেত্রী ফারহানা হামিদ বলছেন, ‘যেখানে মন খুলে কথা বলা যায় না, সেখানে থাকাটাই কঠিন।’ সহজেই ধরে নেওয়া যায়, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে শব্দের খোয়াব ছবিটি, পরিচালনায় সিদ্দিক আহমেদ।
১৯৭০ সালে জহির রায়হান তৈরি করেন সিনেমা জীবন থেকে নেয়া। সিনেমাটি তৎকালীন পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ডের রোষানলে পড়ে। সেই সময় সেন্সর বোর্ডের মুখোমুখি হয়েছিলেন জহির রায়হান। লাইট, ক্যামেরা...অবজেকশন-এর গল্প সেই ঘটনা নিয়ে। এটি পরিচালনা করেছেন সালেহ সোবহান।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ভারতের ক্যাম্পে আশ্রয় নেন ১৮ বছরের এক যুবক। তার হৃদয়বিদারক গল্প তুলে ধরা হয়েছে বাংকার বয় ছবিতে। এটির পরিচালক সুকর্ণ শাহেদ।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, প্রথম আলোর হেড অব ডিজিটাল জাবেদ সুলতান, নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদসহ আরও অনেকে। আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান এবং ছবির তিন পরিচালক।
রেদওয়ান রনি বলেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বাঙালির জেগে ওঠার, বিপ্লবের ও উত্থানের গল্প মনে করিয়ে দিতেই আমরা বিজয়ের মাসের জন্য বেছে নিয়েছি জাগো বাহের মতো সিরিজকে। বাংলাদেশের ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ তিনটি বছর ’৫২, ’৭০ এবং ’৭১-এর তিনটি গল্প নিয়ে এ সিরিজ। চরকি সব সময় বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট মুক্তির প্রতিশ্রুতি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরজুড়ে চলবে আমাদের এ আয়োজন, যার শুরুটা হচ্ছে শব্দের খোয়াব দিয়ে।’