অপেক্ষার পালা শেষ, বছর ঘুরে আবারও কড়া নাড়ছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। বিনোদনের ক্ষেত্রে বছরের সেরা কাজের স্বীকৃতি দিতে ১৯৯৮ সালে পুরস্কারটি প্রবর্তন করা হয়। ক্রমেই এটি দেশের সবচেয়ে জমকালো পুরস্কারে পরিণত হয়েছে।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের আসর বসেছে।
এ বছর পুরস্কারটির রজতজয়ন্তী পূর্তি হচ্ছে; ফলে ২৫তম আসর আরও বেশি জমকালো হবে। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ, টিভি নাটক ও গানের মধ্য থেকে সেরা শিল্পীদের পুরস্কার দেওয়া হবে। ২৪ মে জাঁকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারের দ্য গ্রেস মিলনায়তনে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩ দেওয়া হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এই ভেন্যু হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত। ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই আসা যাবে।
এবারের আসরের কান্ডারি হিসেবে থাকছেন নন্দিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। দুই দশক পর মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের উপস্থাপনায় ফিরলেন তিনি। এবারের আসরের প্রাণভোমরা হয়ে মঞ্চে আলো ছড়াবেন এই উপস্থাপক।
মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারে পঞ্চমবারের মতো দেখা যাবে হানিফ সংকেতকে। এই পুরস্কারের ইতিহাসে তিনিই সর্বোচ্চবার উপস্থাপনা করছেন। শেষ ২০০৫ সালে এই পুরস্কারের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন তিনি। এর আগে ১৯৯৯, ২০০১, ২০০৩ সালেও মঞ্চে কথার জাদু ছড়িয়েছেন তিনি।
তবে এই পুরস্কারের প্রথম আয়োজনটি উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত, সেটি মেরিল–ভোরের কাগজ পুরস্কার ১৯৯৮।
প্রতিবছরের মতো এবারও ‘তারকা জরিপ পুরস্কার’, ‘সমালোচক পুরস্কার’ ও ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হবে। এ বছর কারা এসব পদক ও সম্মাননা পাবেন, তা নিয়ে প্রতিবছরই মানুষের মধ্যে থাকে কৌতূহল। তবে তা জানতে পুরস্কার ঘোষণার সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
মূলত আমন্ত্রিত অতিথিরাই এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। ঠাসা সূচির ফাঁকে একটা দিন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারকে ঘিরে চলচ্চিত্র, টিভি ও সংগীতের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের মিলনমেলা বসে।
পুরস্কারের বাইরে প্রতিবছরই থাকে সাংস্কৃতিক আয়োজন। যেহেতু এ বছর মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের রজতজয়ন্তী, তাই থাকছে অনেক চমক। কারণ, এবার পুরো আয়োজনের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করছেন হানিফ সংকেত।