বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নবনিযুক্ত পরিচালকদের সঙ্গে একাডেমির কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে আজ রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার শুরুতে উপস্থিত পাঁচ বিভাগের পরিচালকদের একাডেমিতে স্বাগত জানান মহাপরিচালক। পরে প্রত্যেকের পেশাগত অভিজ্ঞতা ও কর্মজীবনের কথা তুলে ধরেন তিনি। একাডেমির কার্যক্রম গতিশীল করতে সম্মিলিতভাবে আইন ও বিধি অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে ও জবাবদিহিমূলক কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন পরিচালকেরা। সবাই পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন তথা নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার সমন্বয়ে কর্মচাঞ্চল্যমুখর শিল্পকলা একাডেমি গঠনে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছয় বিভাগের পরিচালকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাঁচজন—চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির; সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহ্জাবীন রহমান, প্রযোজনা বিভাগের আবদুল হালিম চঞ্চল এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান। গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব বিদেশে অবস্থান করায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
পরে একাডেমির সার্বিক কর্মকাণ্ড, জনবল, বাজেট, অবকাঠামো, বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রশাসনিক বিষয়াদি, জেলা ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান আর্থিক ও কাঠামোগত অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
একাডেমির চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে একই পরিবার হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একাডেমি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত পরিচালকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও স্বাগত জানান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি সরকার জিয়া উদ্দিন আহাম্মদ; সংগীত ও নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাইমুজ ইনাম নাইম ও কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি এস এম সালাহউদ্দিন।
সমাপনী বক্তব্যে মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা তিনটি এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছি—প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনয়ন, আর্থিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনয়ন ও অনিয়ম থাকলে তা দূরীকরণ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও সারা দেশের জেলা শিল্পকলা একাডেমিসমূহকে আরও সচল/সক্রিয় করার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতিচর্চা ছড়িয়ে দেওয়া।’
জামিল আহমেদ আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে, তা কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে আরও গতিশীল ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। এ জন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’