প্রকাশিত হয়েছে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার ২০২৩-এর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নামের তালিকা। জুরিবোর্ড নির্বাচন করেছেন এ তালিকা। এবার ‘সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র’, ‘চলচ্চিত্র ও ওয়েব ফিল্ম’ ও ‘ওয়েব সিরিজ’—এই তিন বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে। ২৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩-এর রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান। ওই দিন জানা যাবে এবারের বিজয়ীদের নাম। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁদের অনুভূতি। গ্রান্থনা : মইনুল ওয়াজেদ
ওয়েব সিরিজ
সেরা ওয়েব সিরিজ
`গুটি' (রেদওয়ান রনি—চরকি)
গুটি টিমের নির্মাতা,শিল্পী ও কলাকুশলীদের আন্তরিক ধন্যবাদ, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মিত সিরিজটি দর্শকেরও মন জয় করেছিল। এই সেরা সিরিজের মনোনয়নে উৎসাহিত চরকি।
`মোবারকনামা' (সাকিব আর খান—হইচই বাংলাদেশ)
মেরিল-প্রথম আলোর মতো বড় আয়োজনে হইচই বাংলাদেশের দুটি ওয়েব সিরিজকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জুরিদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেকোনো ধরনের মনোনয়ন আনন্দের। মোবারকনামা টিম মনে করে, তাদের পরিশ্রম সার্থক।
‘মহানগর ২’ (সাকিব আর খান—হইচই বাংলাদেশ)
এবার ওয়েব সিরিজ বিভাগে দুটি মনোনয়ন পেয়েছে হইচই বাংলাদেশ। বরাবরের মতোই এটা সম্মানের। মহানগর ২–এর টিমের পক্ষ থেকে জুরিদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সেরা চিত্রনাট্যকার
আবু সাঈদ রানা (‘গুটি’)
গুটি সিরিজের চিত্রনাট্যকার হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই সম্মানের জন্য আমি মেরিল–প্রথম আলো এবং চরকিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি শঙ্খ দাশগুপ্তের অমূল্য পরামর্শের জন্য এবং শঙ্খ দাশগুপ্ত, রবিউল আলম রবি ও জাহিন ফারুক আমিনের মতো লেখক দলের সঙ্গে সহলেখক হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ দেওয়ার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এই মনোনয়ন শুধু আমার কাজের স্বীকৃতিই নয়, আমাদের শিল্পে সৃজনশীলতাকে চালিত করার সহযোগিতামূলক মনোভাবেরও প্রমাণ।
জাহিন ফারুক আমিন (‘গুটি’)
যেকোনো কাজের স্বীকৃতি আমাকে পরবর্তী কাজের জন্য সর্বদা অনুপ্রাণিত করে, সেটা হোক চিত্রনাট্য লেখা কিংবা আপনজনের জন্য রান্না করা। আমার হাতের রান্না খেয়ে মা যদি বলেন ‘মজা হয়েছে’, মনে যেমন আনন্দ জাগে; তেমনই আনন্দ লাগে যখন আমার কিংবা আমাদের লেখা চিত্রনাট্যে নির্মিত সিনেমা/সিরিজ দেখে দর্শক-সমালোচকদের তৃপ্তি জাগে। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩ কর্তৃপক্ষ ও বিচারকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি চরকি প্রযোজিত ও ফিল্মি ফিচার্স নির্মিত ওয়েব সিরিজ গুটির জন্য মনোনীত হয়ে। আমি এই আনন্দের অনুভূতিটুকু ফিল্মি ফিচার্স টিম এবং আমার বন্ধু নেয়ামত উল্লাহ মাসুমের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলাম।
রবিউল আলম রবি (‘গুটি’)
আমি অনেক খুশি; কারণ, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সমালোচক বিভাগে স্বীকৃত হয়েছে। এটা উৎসাহজনক। ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।
শঙ্খ দাশগুপ্ত (‘গুটি’)
সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে গুটি সিরিজের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। কারণ, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার শুরু থেকেই যে স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে, তার মান সব সময় উঁচু স্তরের। এখানে মনোনয়ন পাওয়াটা কাজের বড় ধরনের স্বীকৃতি। প্রতিবারের মতো এবারও বড় একটি মিলনমেলায় আমি থাকছি, সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।
আবদুল্লাহ আল মুক্তাদির (‘মোবারকনামা’)
ছোটবেলায় নতুন বছর শুরু হতেই যেমন নতুন ক্লাস আর নতুন বইয়ের সুবাস আমাদের মুগ্ধ করত, তেমনি নতুন বছর শুরু হওয়া মানেই ছিল মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের নতুন একটা সিজন। এবার প্রথম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩–এ সমালোচকদের বিচারে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ায় সিজনটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। ছোট্টবেলার সেই পড়া ফাঁকি দিয়ে দেখা প্রিয় শিল্পীদের পুরস্কার গ্রহণের স্মৃতি মনে পড়ছে বারবার। কৃতজ্ঞতা জানাই মেরিল–প্রথম আলোর সামনে-পেছনে কাজ করা প্রত্যেককে। কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বড় ভাই গোলাম সোহরাব দোদুলকে, টিম হইচইকে এবং অবশ্যই জুরিবোর্ডের সবাইকে মোবারকনামার স্টোরিটেলিং ভালো লাগার জন্য।
আশফাক নিপুণ (‘মহানগর ২’)
প্রথাগতভাবে চিত্রনাট্য না লিখেও সেরা চিত্রনাট্যকারের মনোনয়ন কিছুটা তো অপ্রত্যাশিতই। তবে সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে তৃতীয়বারের মতো এবার সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়নপ্রাপ্তি অবশ্যই অনেক আনন্দের। যেকোনো ওয়েব সিরিজের প্রাণ হলো তাঁর লেখনী। মহানগর ২-এর ব্যাপারে সেটা একটু কঠিনও ছিল। কারণ, প্রত্যাশার পারদ ছিল আকাশচুম্বী। জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। মনোনীত বাকি প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা।
সেরা পরিচালক
আশফাক নিপুণ (‘মহানগর ২’)
এর আগে মহানগর সিরিজের জন্য সেরা পরিচালকের সমালোচক পুরস্কার পেয়েছিলাম ২০২১ সালে। দ্বিতীয় সিজনের জন্য আবারও আমাকে সেরা পরিচালক বিভাগে মনোনীত করায় জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ। লোকপ্রিয় কোনো কাজ যখন জুরিদেরও পছন্দের তালিকায় চলে আসে, তখন পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। মনোনীত বাকি দুই পরিচালককেও আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
রেজাউর রহমান (‘ইন্টার্নশিপ’)
প্রথমবার মনোনয়ন পাওয়া অনেক স্পেশাল আমার জন্য। এই আওয়ার্ডটা বাংলাদেশের অনেক বড় একটি স্বীকৃতি। যেখানে মনোনীত হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সম্মানিত জুরিদের ধন্যবাদ। প্রথম কাজে মনোনয়ন পাওয়ায় ধন্যবাদ জানাই যাঁরা আমাকে কাজটা করতে সাহায্য করেছেন, প্রযোজক, রাইটার, কলাকুশলী—সবাইকে।
শঙ্খ দাশগুপ্ত (‘গুটি’)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩–এ সমালোচকদের বিচারে সেরা পরিচালকের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত। কারণ, এটা আমার প্রথম মনোনয়ন। আমি অনেক সম্মানিত বোধ করছি, একই সঙ্গে এটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। গুটি দর্শকেরা যেমন পছন্দ করেছেন, সেভাবে সমালোচকেরাও পছন্দ করেছেন, যা আনন্দের ব্যাপার। ধন্যবাদ জানাতে চাই সম্মানিত জুরিদের ও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের কর্তৃপক্ষকে।