ঢাকায় ‘ট্রান্সফরমারস: রাইজ অব দ্য বিস্টস’

‘ট্রান্সফরমারস: রাইজ অব দ্য বিস্টস’–এর একটি দৃশ্য
আইএমডিবি

সারা পৃথিবীর সঙ্গে একই দিন ঢাকায় মুক্তি পাবে সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ট্রান্সফরমারস’-এর সপ্তম কিস্তি ‘ট্রান্সফরমারস: রাইজ অব দ্য বিস্টস’। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি দেখা যাবে বলে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

২০০৭ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ‘ট্রান্সফরমারস’-এর ছয়টি কিস্তি মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর বেশির ভাগ সিনেমা বিশ্বব্যাপী ভালো ব্যবসা করেছে। ছোট–বড় সবাই যেন আপন করে নিয়েছে অদ্ভুত ক্ষমতাধর এই যন্ত্রমানবদের। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পর্দায় এসেছিল সিরিজের ষষ্ঠ ছবি ‘বাম্বলবি’। এবার তাদের সপ্তম মিশন। প্রায় পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে ৯ জুন পর্দায় আসছে ছবিটি।

‘দ্য ল্যান্ড’ ও ‘ক্রিড টু’–খ্যাত পরিচালক স্টিভেন ক্যাপল জুনিয়রের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি রামোস, ডমিনিক ফিশব্যাক ও লুনা লরেন ভালেজ। নব্বইয়ের দশকের প্রেক্ষাপটে ‘রাইজ অব দ্য বিস্টস’-এর চিত্রায়ণ হয়েছে ব্রুকলিন ও পেরুতে। একই দশকের তুমুল জনপ্রিয় এনিমেটেড সিরিজ ‘বিস্টস ওয়ার্স: ট্রান্সফরমার্স’ থেকে সিনেমাটি অনুপ্রাণিত।

‘ট্রান্সফরমারস’-এর গল্পের শুরুটা প্রাগৈতিহাসিক সময়ে। অজ্ঞাতপরিচয় ভিনগ্রহবাসীদের আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ডাইনোসররা মানবসভ্যতার ইতিহাসের মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়। এর পরের দৃশ্যপট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস। যেখানে এক স্বাধীন উদ্ভাবক কেইড ইয়োগার (মার্ক ওয়ালবার্গ) ভাগ্যচক্রে পেয়ে যায় অপটিমাস প্রাইমকে।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখা যাবে ‘ট্রান্সফরমারস: রাইজ অব দ্য বিস্টস’

মানুষের বন্ধু অটোবটরা মানুষেরই হামলার লক্ষ্যে পরিণত হওয়ায় আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছিল। অন্যদিকে এক করপোরেট উদ্ভাবক আবিষ্কার করে বসে কোন উপকরণ দিয়ে তৈরি ট্রান্সফরমাররা। শুরু হয় নতুন দ্বন্দ্ব। ভিনগ্রহবাসী অটোবট ও ডিসেপটিকনদের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বেশ কয়েকবার কাহিনিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। ‘বাম্বলবি’ ছবিতে যেমন অ্যাকশন ছাড়াও ঠাঁই পেয়েছে আবেগ আর ভালোবাসা।

এবারের সিকুয়েলের প্রেক্ষাপট ১৯৯৪ সাল। সাবেক সামরিক ইলেকট্রনিকস–বিশেষজ্ঞ নোহ এবং আর্টিফ্যাক্ট–গবেষক এলিনাকে নিয়ে গল্প এগিয়েছে। ট্রান্সফরমার রেসের তিনটি উপদল ম্যাক্সিমালস, প্রেডাকনস এবং টেররকনস একটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নোহ ও এলিনা ম্যাক্সিমালসের দল অপটিমাস প্রাইম এবং অটোবটকে একটি যুদ্ধে সাহায্য করে।