বয়স ৭০ ছাড়িয়েছে, তবে এখনো পুরোদমে অভিনয়টা চালিয়ে যাচ্ছেন লিয়াম নিসন। তিনি নিজে অবসর নিয়ে ভাবছেন—এমন কিছু শোনা যায়নি। তবে অভিনেতাকে অবসর নিতে বলছেন সমালোচকেরা। বিশেষ করে অ্যাকশন সিনেমা থেকে। সমালোচকদের এই মন্তব্য এসেছে বিরক্তি থেকে। তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ‘রেট্রিবিউশন’কে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন সমালোচকেরা। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে বলেই দিয়েছেন, ‘প্রিয় লিয়াম, এবার আপনি অবসর নিন।’
প্রায় পাঁচ দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে স্টিভেন স্পিলবার্গ, মার্টিন স্করসেজির মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। অস্কার, টনি, বাফটা, গোল্ডেন গ্লোব—বড় বড় পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন। সেই অভিনেতাকেই কেন অবসর নিতে বলছেন সমালোচকেরা? সেটা জানতে পেছন ফিরে যেতে হবে বছর পনেরো। ২০০৮ সালে ‘টেকেন’ সিনেমা করেই নিসনের ‘সর্বনাশ’-এর শুরু। লুক বেসোঁর লেখা সিনেমাটি ব্যবসায়িক সাফল্য পায়, সমালোচকেরাও প্রশংসা করেন।
কিন্তু এই সিনেমার পর প্রযোজক-পরিচালকেরা যেন নতুন এক অ্যাকশন হিরো খুঁজে পেলেন। এরপর যা হলো, তা হয়তো খোদ অভিনেতা নিজেও ভাবেননি। ফি বছরই একের পর এক অ্যাকশন-থ্রিলার সিনেমায় দেখা গেল তাঁকে। যার বেশির ভাগই সেই টেকেন সিনেমার পুনরাবৃত্তি।
‘দ্য এ-টিম’, ‘আননোন’, ‘টেকেন ২’, ‘টেকেন ৩’, ‘অনেস্ট থিভ’-এর মধ্যে কোনো কোনোটি মোটামুটি ব্যবসা করলেও চিত্রনাট্য আটকে ছিল সেই টেকেন-এ।
সর্বশেষ ‘রেট্রিবিউশন’ মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার।
এখানেও অভিনেতাকে মাঠে নামতে হয় বোমা হামলা ঠেকাতে। ছবিটির গড় রেটিং ১০-এ ৪ দশমিক ৫। মেটাক্রিটিকে ১০০-তে স্কোর পেয়েছে ৪৩। আরেকটি জনপ্রিয় সাইট রটেন টোমাটোজে ছবিটির রেটিং মোটে ২৯ শতাংশ। কোনো কোনো সমালোচক তো এই ধরনের সিনেমাকে ‘গেম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তবে সমালোচকেরা যা–ই বলুন না কেন, অভিনেতা সম্ভবত থাকবেন নিজের পথেই। তাঁর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন সিনেমা ‘থাগ’, ‘ইন দ্য ল্যান্ড অব সেইন্টস অ্যান্ড সিনারস’, ‘োল্ড স্টোরেজ’—সবই থ্রিলার ঘরানার। এখন দেখার সিনেমাগুলোতে চিত্রনাট্য, অ্যাকশনের কোনো নতুনত্ব আছে, নাকি আটকে আছে সেই টেকেন–এ।