‘অ্যাভাটার’ মুক্তির পর তৈরি হয়েছিল নতুন ইতিহাস। গল্প বলা, ক্যামেরা থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার আর সঙ্গে অতি অবশ্যই আবেগ; যা পর্দায় তুলে ধরতে বরাবরই মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন পরিচালক। এরপর এক যুগের বেশি সময় পার হয়েছে, এখনো সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমা ‘অ্যাভাটার’। ১৩ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে গত ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ‘অ্যাভাটার’-এর সিকুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।
মুক্তির আগে থেকেই বক্স অফিসে ‘অ্যাভাটার টু’ ঝড়ের পূর্বানুমান করেছিলেন অনেকে। অনেক বক্স অফিস-বিশ্লেষক এমনও মন্তব্য করেন, প্রথমটির আয়ও ছাড়িয়ে যেতে পারে দ্বিতীয়টি। সেটি হয় কি না, তা সময়ই বলে দেবে। এখনকার খবর, মুক্তির পর মাত্র ১২ দিনেই জেমস ক্যামেরনের ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন ডলার আয় পূর্ণ করেছে। চলতি বছরের তৃতীয় ছবি হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করল ‘অ্যাভাটার টু’।
চলতি বছর আয়ের নিরিখে এখনো শীর্ষে আছে টম ক্রুজ অভিনীত ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’।
এবারের কিস্তির গল্প শুরু হয়েছে জেক সলিকে নিয়ে। অ্যাভাটারের শরীরে ভর করে যে প্যানডোরা গ্রহে হাজির হয়। গ্রহটিতে থাকে না’ভি আদিবাসীরা। জলজ এই গ্রহের মহামূল্যবান সম্পদ আনঅবটেনিয়াম, যা পৃথিবীকে বাঁচাতে দরকার। তবে গ্রহের বাসিন্দারা এটিকে হাতছাড়া করবে কেন! শুরু হয় প্যানডোরাবাসীদের সঙ্গে সংঘাত।
জেক সলির চরিত্রে আগেরবারের মতোই আছেন স্যাম ওয়ার্দিংটন। এ ছাড়া আগের কিস্তির জোয়ি সালদানা, সিগুর্নি ওয়েভার, স্টিফেন লাংরাও থাকছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন ক্লিফ কার্টিস, মিতকানিয়া গোত্রের নেতা তনোয়ারির চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। আছেন ক্যামেরনের প্রিয় পাত্রী কেট উইন্সলেট, তাঁকে দেখা যাবে রোনাল চরিত্রে। এ ছাড়া এবার দেখা যাবে এডি ফ্যালকো, জেমি ফ্ল্যাটার্স, ব্রেনডন কাউওয়েলকে।