কেন ১৩ বছর লাগল অ্যাভাটার সিকুয়েল বানাতে

গত মঙ্গলবার ছিল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো। দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার নাম সিনেমাটি। প্রিমিয়ার শো শেষে পরিচালক জেমস ক্যামেরন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান, কেন সিনেমাটি বানাতে ১৩ বছর লাগল। সেই গল্প দেখুন ছবিতে

জেমস ক্যামেরন প্রথম কারণ হিসেবে জানান, গভীর সমুদ্রের মধ্যে সিনেমাটির শুটিং করা। সমুদ্রের যথাযথ লোকেশন খুঁজতে গিয়ে কয়েক বছর কেটে যায়
পুরো চিত্রনাট্য লিখেও একের পর এক বদলাতে হয়। এ জন্য শুটিংয়ের দিন একের পর এক পেছাতে থাকে
সর্বশেষ চতুর্থবার চিত্রনাট্য লিখে তবেই কাজ শুরু করেন ক্যামেরন। সিনেমাটির টুকিটাকি নোটই ছিল ১৫ শ পেজের মতো
সিনেমাটি নির্মাণ করতে পানির নিচে যে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সিনেমার জন্যই আবিষ্কার করা
‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’–এর একটি দৃশ্য
শুটিংয়ে গিয়েও অনেক কিছু শিখতে হয়েছিল কলাকুশলীদের। এর মধ্যে ছিল পানির নিচে এক মিনিটের বেশি সময় নিশ্বাস বন্ধ করে রাখা। এই অনুশীলন করতে কেটে যায় মাসের পর মাস
প্রথম দিকে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মুক্তির কথা থাকলেও এই সময়েও সিনেমাটির সিজিআইয়ের (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ) কাজ নিয়ে দোটানায় ছিল পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যথাযথভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতেই এই সময় নিয়েছেন পরিচালক
প্রিমিয়ার শেষে ক্যামেরন আরও জানান, ‘পরবর্তী সময় আর দেরি হবে না। অ্যাভাটার এর তৃতীয় কিস্তি আসবে ২০২৪ সালে। পরের কিস্তিগুলো ২০২৬ ও ২০২৮ সালে মুক্তি পাবে