চলতি বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’। এ বছর কান উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পর থেকেই কোরেলি ফারজার এই বডি হরর সিনেমার উচ্চকণ্ঠ প্রশংসা করেছেন সমালোচকেরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মুভিতে মুক্তির পর থেকে সে প্রশংসায় যোগ দিয়েছেন সাধারণ দর্শকেরাও। এই সিনেমা দিয়ে আলোচনায় তরুণ অভিনেত্রী মার্গারেট কোয়ালি। ছবিটিতে একটি দৃশ্যে তাঁকে পুরোপুরি নগ্ন দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে পিপলডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি।
প্রখ্যাত তারকা এলিজাবেথ স্পার্কলসের গল্প। টিভির এই ফিটনেস শো তারকার ক্যারিয়ার পড়তির দিকে। নিজের ৫০তম জন্মদিনের দিনই সে জানতে পারে যে তার বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। মরিয়া হয়ে ব্ল্যাক মার্কেট ড্রাগ নিতে চায় সে। কিন্তু ঘটনা ঠিক তার মতো হয় না। এলিজাবেথ চেয়েছিল, ব্ল্যাক মার্কেট ড্রাগ নিয়ে উন্নততর সংস্করণে হাজির হতে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে।
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোয়ালি। ছবিতে আরও আছেন ডেমি মুর। ডেমির সঙ্গে অভিনয় কোয়ালির জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। পর্দায় নগ্ন হওয়া নিয়েও তাঁর তেমন সমস্যা ছিল না। মুশকিলটা হয় ছবির প্রিমিয়ারে। যেখানে হাজির ছিলেন তাঁর মা অভিনেত্রী অ্যান্ডি ম্যাকডাওয়েল। কী হয়েছিল তখন, সেটাই কোয়ালি জানান সাক্ষাৎকারে।
কোয়ালি বলেন, ‘মা প্রিমিয়ারে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এই সিনেমা তো আমার বন্ধুরা দেখতে পারবে না, আমার বোনেরাও দেখতে পারবে না। কেউই আসলে এটা দেখতে পারবে না।”’
কেবল তাঁর মা–ই নন, এ ছবির নগ্ন দৃশ্য নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মজা করে কোয়ালি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের জন্য এটা খুব কঠিন বছর।’
কেবল নগ্নতাই নয়, কোরেলি ফারজার এই বডি হরর সিনেমায় প্রচুর সহিংসতা আছে। এ জন্য বডি হরর সিনেমাটি সবার জন্য হয়। অনেকের ছবিটি দেখতে গা গুলিয়েও উঠতে পারে। পর্দায় যাঁরা এ ঘরানার সিনেমা দেখতে অস্বস্তি বোধ করেন, তাঁদের ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
ঠিক ১০ বছর আগে এইচবিওর সিরিজ ‘দ্য লেফটওভারস’ দিয়ে নজর কাড়েন কোয়ালি। এরপর তাঁকে ‘দ্য নাইস গাই’, ‘গেথ নোট’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা যায়।
পরে কোয়েন্টিন টারান্টিনোর ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন হলিউড’ আর নেটফ্লিক্সের দুই সিরিজ ‘ফোসে/ভারডন’, ‘মেইড’ সমালোচকদের কাছে তাঁর আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে।
‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ দিয়ে কোয়ালি ক্যারিয়ার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।