মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরুণ বয়সের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’। গত ২০ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ারের পর থেকেই সিনেমাটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। পুরো সিনেমাটি সেভাবে প্রশংসিত না হলেও নজর কেড়েছেন ট্রাম্পের চরিত্রে অভিনয় করা সেবাস্তিয়ান স্ট্যান। সম্প্রতি চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটিকে স্ট্যান জানিয়েছেন পর্দায় তাঁর ট্রাম্প হয়ে ওঠার গল্প।
তরুণ বয়সের ট্রাম্প হয়ে উঠতে শারীরিক চ্যালেঞ্জই ছিল বেশি। সেবাস্তিয়ান স্ট্যান জানান, নিজের ফোনে ট্রাম্পের পাঁচ শতাধিক ভিডিও নিয়ে ঘুরেছেন তিনি। বিভিন্ন সময় ও অ্যাঙ্গেলে ধারণ করা এসব ভিডিও দেখে পর্দায় ট্রাম্প হয়ে ওঠার প্রস্তুতি নিয়েছেন স্ট্যান। এ ছাড়া ওজন বাড়াতে হয়েছে ১৪ পাউন্ড। অভিনেতার ভাষ্যে, ‘এসব ভিডিওতে তাঁর হাঁটাচলা, কথা বলার ভঙ্গি, উচ্চারণ ইত্যাদি বিষয় খেয়াল করেছি। এ ছাড়া তাঁর প্রচুর সাক্ষাৎকার পড়েছি, নিজের মতো করে একটা চরিত্র দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি।’
এই তরুণ অভিনেতা জানান, ব্যক্তিগতভাবে তিনি ট্রাম্পের ভক্ত নন, কিন্তু পর্দায় ট্রাম্পের চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো আপস করেননি। বরং তাঁর সামর্থ্যের চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ বেশি দিয়েছেন।
‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ সিনেমাটি বানিয়েছেন ইরানি বংশোদ্ভূত ড্যানিশ নির্মাতা আলি আব্বাসি। সিনেমাটি নিয়ে বিতর্কের কারণ, এতে ট্রাম্পকে ধর্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
প্রথম স্ত্রী ইভানাকে তিনি নির্যাতন করতেন, সেটাও দেখানো হয়েছে সিনেমায়। কানে প্রদর্শনীর পর থেকেই আলোচনায় সিনেমার একটি দৃশ্য। যেখানে ট্রাম্প (সেবাস্তিয়ান স্ট্যান) স্ত্রী ইভানার (মারিয়া বাকালোভা) ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন।
তবে বিতর্ক হলেও বিভিন্ন গণমাধ্যম সিনেমাটির প্রশংসাই করেছে। বিশেষ করে সেবাস্তিয়ান স্ট্যানের। এই অভিনেতা যেভাবে তরুণ বয়সের ট্রাম্প হিসেবে পর্দায় হাজির হয়েছেন, এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সমালোচকেরা। বিবিসি এ ছবির সমালোচনায় বলেছে, তরুণ ট্রাম্প হিসেবে স্ট্যান দারুণ। তাঁর অঙ্গভঙ্গি, হাঁটাচলা ছিল দারুণ। আর তিনি যে ট্রাম্পের ক্যারিকেচার না করে বরং পর্দার চরিত্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন, এটা ছিল সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত।
আলি আব্বাসির আগের সিনেমা ‘হলি স্পাইডার’ ২০২২ সালে কান উৎসবেই মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছিল। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য সে বছর সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন জার আমির ইব্রাহিমি।