সার্শা রোনানকে এই সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী মনে করেন সমালোচকেরা। বিশ্ব চলচ্চিত্রের যাঁরা খোঁজখবর রাখেন, ‘ব্রুকলিন’, ‘লেডি বার্ড’, ‘লিটল ওম্যান’ অভিনেত্রীকে তাঁরা ভালোই চেনেন। ৩০ বছর বয়সী এই আইরিশ অভিনেত্রী এবার নতুন এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে।
নতুন দুই সিনেমা ‘দ্য আউটরান’ ও ‘ব্লিটজ’-এ ব্যতিক্রমী দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সার্শা। চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটির পূর্বানুমান, আগামী অস্কারে দুই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী ও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়ে একই অস্কারে দুই মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের ‘এলিট ক্লাব’-এ ঢুকে পড়বেন সার্শা।
আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় অস্কারের পূর্বানুমান চলতি মাসেই প্রকাশ করবে ‘ভ্যারাইটি’।
আগে মাত্র ১২ জন শিল্পী অস্কারে ‘ডাবল মনোনয়ন’ পেয়েছেন, সার্শা হতে পারেন এই ক্লাবের ১৩তম সদস্য।
তবে সেরা অভিনেত্রী ও পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলে সার্শা হবেন এই ক্লাবের কনিষ্ঠতম সদস্য। এর আগে চারবার অস্কার মনোনয়ন পেলেও পুরস্কার পাননি সার্শা, এবার হয়তো তাঁর হাতে উঠতে পারে প্রথম অস্কার।
সার্শার দুই ছবির একটি ‘দ্য আউটরান’ চলতি বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা। ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাওয়া ছবিটি আলোচনায় আসে সানড্যান্স উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পর। পরে বার্লিনেও প্রশংসিত হয় ছবিটি। যুক্তরাজ্য ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি মূলত রোনা নামের এক মাদকাসক্ত তরুণীর গল্প।
দীর্ঘদিন পুনর্বাসনকেন্দ্রে কাটিয়ে সে নিজের শহরে ফিরে আসে। রোনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সার্শা। ছবিটির নির্মাতা নোরা ফিংশাইড। ছবির অন্যতম প্রযোজকও সার্শা।
‘ব্লিটজ’ আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার সিনেমা। ঐতিহাসিক ড্রামা ঘরানার সিনেমাটি বানিয়েছেন স্টিভ ম্যাকুইন। আগামী ৯ অক্টোবর বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হবে। ১ নভেম্বর সীমিত পরিসরে মুক্তির পর ২২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যাপল টিভি প্লাসে প্রিমিয়ার হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবিটিতে ৯ বছর বয়সী এক সন্তানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সার্শা।
সার্শা অবশ্য এই দুই সিনেমার জন্য কবে কী পুরস্কার পাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত নন। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, টানা সিরিয়াস ছবি করতে করতে তিনি ক্লান্ত। সিবিআর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অ্যাকশন ছবি করতে পারলে ভালোই হয়। আমি এরই মধ্যে এজেন্টকে বলে দিয়েছি, এমন কিছু করতে চাই, যাতে মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবে বেশি শ্রম দিতে হবে।’