সোফিয়া লরেন। রয়টার্স ফাইল ছবি
সোফিয়া লরেন। রয়টার্স ফাইল ছবি

সফল অস্ত্রোপচারের পর দীর্ঘ বিশ্রামে সোফিয়া লরেন

২০ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এদিন দুনিয়ার নানা প্রান্তে থাকা ভক্তদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন অস্কারজয়ী ইতালীয় অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন। তবে জন্মদিন পালনের চার দিন পরই আসে দুঃসংবাদ—জেনেভায় বাড়ির বাথরুমে পা পিছলে গুরুতর আহত হয়েছেন ৮৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী। পরে জানা যায়, তাঁর ঊরু ও পায়ের হাড় ভেঙেছে। তবে অভিনেত্রীর এজেন্ট আন্দ্রেয়া গিউস্টি দিলেন স্বস্তির খবর।

সিএনএনকে তিনি জানিয়েছেন, অভিনেত্রীর শরীরে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানিয়েছে, তাঁর আহত হওয়ার খবর শুনে দুনিয়ার নানা প্রান্তের ভক্তরা যে প্রার্থনা করেছেন; সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লরেন।

এজেন্টের মাধ্যমে এক বিবৃতিতে লরেন বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতি সবাই যেভাবে সহানুভূতি ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সে জন্য কৃতজ্ঞ। আমি আগের চেয়ে ভালো আছি, এখন আমাকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আর দীর্ঘ বিশ্রাম নিতে হবে।’

অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার খবর জানিয়ে তাঁর এজেন্ট গিউস্টি আরও বলেন, ‘খুবই ভালোভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের এখন কেবল অপেক্ষা করতে হবে।’ অভিনেত্রীর নামে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টও আছে ইতালিতে। রেস্টুরেন্টটির পক্ষ থেকেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে সোফিয়া লরেনের সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানানো হয়। তবে তাঁর পুরোপুরি সেরে উঠতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানা সম্ভব হয়নি।

১৯৩৪ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেন সোফিয়া লরেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে মডেল হিসেবে বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। চলচ্চিত্র প্রযোজক কার্লো পন্টির সঙ্গে পরিচয়ের পর অভিনয়ের জগতে পা রাখেন সোফিয়া। তিনি ১৫ বছর বয়সে ৩৭ বছর বয়সী পন্টিকে বিয়ে করেন।

১৯৫০ সালে মুক্তি পায় সোফিয়া অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আই অ্যাম ক্যাপাটাজ’। পরবর্তী সময়ে ‘সানফ্লাওয়ার’, ‘হাউসবোট’, ‘ইয়েস্টারডে’, ‘টুডে অ্যান্ড টুমরো’, ‘ম্যারেজ ইতালিয়ান স্টাইল’, ‘এল সিআইডি’, ‘দ্য ফল অব দ্য রোমান এম্পায়ার’, ‘আ স্পেশাল ডেস’হ অনেক ছবি উপহার দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

প্রখ্যাত ইতালীয় চিত্রনির্মাতা ভেট্টোরিও ডি সিকা পরিচালিত টু উইমেন ছবিতে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬২ সালে অস্কার পেয়েছিলেন সোফিয়া লরেন। বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে তিনিই প্রথম সেই অস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে অস্কারে তাঁকে আজীবন সম্মাননাও জানানো হয়।